আওয়ার ইসলাম: ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরে দু’টি আলাদা হামলায় দুই পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। গেরিলারা তাদের কাছ থেকে রাইফেলও ছিনতাই করে।
বাডগাম জেলার চারার-ই-শরীফে গেরিলারা একটি গার্ড পোস্টে গেরিলারা হামলা চালালে কুলতার সিং নামে এক কনস্টেবল আহত হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন তিনি মারা যান। গেরিলারা তার কাছ থেকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।
অন্যদিকে, শ্রীনগরের সৌরা এলাকায় গেরিলারা একটি পুলিশ গার্ড পোস্টে হামলা চালালে এখানে ফারুক আহমেদ নামে এক পুলিশ সদস্য নিহত হন।
এক কর্মকর্তা বলেন, গেরিলারা গতকাল (রোববার) বাডগাম জেলার চারার-ই-শরীফ এলাকায় সুফী শেখ নুরুদ্দিন নূরানীর দরগাহের কাছে একটি পুলিশ চৌকিতে গুলিবর্ষণ করে। এরফলে জম্মু-কাশ্মির পুলিশের ১৩ ব্যাটেলিয়ানের কনস্টেবল কুলতার সিং আহত হন। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানে তিনি মারা যান।
অন্যদিকে, শ্রীনগরের সৌরা এলাকায় বিলাল কলোনিতে হুররিয়াত নেতা ফজল হক কুরেশির বাড়ির বাইরে পুলিশ চৌকিতে গেরিলারা হামলা চালালে ফারুক আহমদ নামে এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হন। গেরিলারা এখান থেকে ওই পুলিশ কনস্টেবলের সার্ভিস রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। ফজল হক কুরেশি ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে গেরিলা হামলায় আহত হয়েছিলেন।
পুলিশের ডিজিপি এস পি বৈদ দুই পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। রাজ্য পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে বলেন, ‘এটা ছায়া যুদ্ধ যার বিরুদ্ধে আমরা জম্মু-কাশ্মিরে লড়াই করছি।’ এতে তিনি পুলিশ সদস্যদের সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান।
এদিকে, আজ সোমবার সকালে বান্দিপোরা জেলার বনমহল্লাতে এলাকায় সামরিক বাহিনী গেরিলাদের সন্ধানে ঘেরাও ও তল্লাশি অভিযান চালায়। এসময় স্থানীয় মানুষজন কমপক্ষে দশ মিনিট ধরে গুলি বিনিময়ের শব্দ শুনতে পান। যদিও নিরাপত্তা বাহিনী অথবা গেরিলা কারা ওই গুলি চালিয়েছে তা এখনো স্পষ্ট হয়নি।
ঘটনাস্থলে আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফের ৪৫ ব্যাটেলিয়ানের জওয়ান ও সেনাবাহিনীর রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের জওয়ানরা যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছে।
এইচজে