আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদের অর্থ যোগানের অভিযোগে পাকিস্তানকে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) থেকে অব্যহতি দিয়ে তিন মাসের সময় বেঁধে দিয়েছে টাস্ক ফোর্স।
তবে চীন, রাশিয়া, সৌদি আরব ও তুরস্কের আপত্তিতে ‘সন্ত্রাসে আর্থিক মদদদাতা’ তকমা থেকে আপাতত বেঁচে গেছে পাকিস্তান। খবর দ্য ন্যাশন।
প্যারিসে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)-এর বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জোরদার চেষ্টা চালিয়েছিলো, যাতে সন্ত্রাসে আর্থিক মদতদাতা রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তানের নাম নজরদারি-তালিকায় তোলা যায়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনকে এই সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ অনেকটাই সাজিয়ে দিয়েছিলো ভারত।
কিন্তু গতকাল চীন-রাশিয়ার নেতৃত্বে তাদের বন্ধু দেশগুলি বেঁকে বসায় আপাতত তিন মাসের রক্ষাকবচ আদায় করে নিতে পেয়েছে পাকিস্তান। যা খারিজ করতে আজ সম্মেলনের শেষ দিনেও চেষ্টা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এফএটিএফের সদস্যদের মধ্যে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, রাষ্ট্রপুঞ্জ, ইউরোপীয় কমিশনের শীর্ষ কর্তারা রয়েছেন। ফলে তালিকায় নাম উঠলে এই সংস্থাগুলি মুখ ফিরিয়ে নেবে, এমন একটা আশঙ্কা পাকিস্তানের ছিলই। শেষ পর্যন্ত গোটা ঘটনাপ্রবাহকে নিজেদের ‘জয়’ হিসেবেই দেখাচ্ছে ইসলামাবাদ।
কিন্তু দিল্লিও বিষয়টিকে ব্যর্থতা হিসেবে ভাবতে রাজি নয়। ভারতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের বক্তব্য, পাকিস্তানি আর্থিক মদদপুষ্ট সন্ত্রাস বন্ধ করতে গত এক বছরের সুপরিকল্পিত চেষ্টার পরে অনেকটাই এগোনো গিয়েছে।
প্যারিসে পাকিস্তানকে নজরদারি-তালিকায় তোলার সুযোগ ছিলো ঠিকই। কিন্তু এমন চেষ্টায় সাফল্যও সচরাচর খুব চটজলদি আসে না।
দিল্লির মতে, পাকিস্তানকে তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে মাত্র। এর মধ্যে ইসলামাবাদকে তথ্যপ্রমাণ-সহ প্যারিসের নজরদার গোষ্ঠীকে আশ্বস্ত করতে হবে যে, তারা সন্ত্রাসে টাকা জোগাচ্ছে না। ‘কাজ করে দেখানোর’ চাপ থাকবে পাকিস্তানের উপরে।
দিল্লির কর্তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, প্যারিস সম্মেলনের ঠিক আগেই আন্তর্জাতিক চাপের মুখে লস্কর প্রধান হাফিজ সাঈদকে জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান। সূত্র: কালের কন্ঠ।
এসএস/