রবিউল আকরাম: আজ সকালে এক দীনী ভাই ফোন করে বললেন, ‘আমি গতকাল আশুরার রোজা রেখেছি। দুটি রোজা রাখতে হবে, তাই আজও রাখতে চাই। কিন্তু আজ রাতে সাহরি খেতে পারিনি। একজন আমাকে বলল, সাহরি না খেলে রোজা হয় না। এখন আমি কী করব?’
আমি বললাম, সাহরি খাওয়া সুন্নত, জরুরি না। আপনি নিয়ত করে ফেলুন। আপনার রোজা
হবে, কোনো চিন্তা করবেন না।
হাদিসে আছে, একটি সময় আসবে যখন জাহেলরা না জানা সত্বেও মানুষকে ফাতওয়া দিবে।(মিশকাত)
এ বিষয়টি এখন অহরহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। না জেনেও অনেক লোক দীনি বিষয়ে
কথা বলছে। প্রশ্নের জবাবও দিচ্ছে না জেনে। বিভিন্ন মন্তব্য করছে। মানুষের মাঝে এ প্রবনতা দিন দিন বৃদ্ধিই পাচ্ছে ।
মাওলানা আশেক ইলাহি রহ. এটাকে কিয়ামতের আলামত হিসেবে তার কিতাবে উল্লেখ করেছেন।
এ অবস্থায় আমাদের করণীয় কী?
১। আমরা যার তার কাছে দীনি বিষয় জিগ্যেস করবো না। এ বিষয়ে সাবধানতা
জরুরি। অন্যথায় পরকালে আমার আফসোস করা লাগতে পারে, ভুল মাসআলার উপর আমল
করার কারণে।
২। কেউ যখন মাসআলা জিগ্যেস করে, তখন এ মনোভাব জাগ্রত রাখা জরুরি- না
জানা থাকলে আমি অবশ্যই তাকে বলে দিব, আমি জানি না।
হযরত আলী রা. এর ঘটনাটিও স্মরণ রাখতে পারি। এক লোক একটি মাসআলা জিজ্ঞেস
করলে, হজরত আলী রা. স্পষ্ট বলে দিলেন, আমার জানা নেই। (হায়াতুস সাহাবা)
আল্লাহ আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দিন। বিষয়টি অন্যকে জানাতে পোস্টটি শেয়ার করুন। জাজাকাল্লাহু খাইরান।
সন্তান লালন পালনে ভুল করছেন না তো?