ডেস্ক: আগামীকলা বুধবার থেকে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানে এক যোগে শুরু হবে বাঘ গণনা । ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড সুন্দরবন রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল হওয়ায় বাংলাদেশ ও ভারত অংশেও বুধবার থেকে চলবে বাঘ গণনার কাজ।
বিশ্বের সর্বাধুনিক পদ্ধতি ক্যামেরা ট্রাপিং বা ক্যামেরা ফাঁদের মাধ্যমে সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা নির্ণয় করা হবে। ৭৫ দিন ধরে ক্যামেরায় গুণবে সুন্দরবনের বাঘ। এজন্য সুন্দরবনের শরণখোলা, চাঁদপাই ও খুলনা রেঞ্জের ২৩৯টি গ্রিড পয়েন্টে ৪৭৮টি অত্যাধুনিক ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবসটি সুন্দরবন সন্নিহিত ৫টি জেলার পরিবেশবাদিরা দিনটিকে সুন্দরবন দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। বুধবার সকালে হিরণ পয়েন্টের নীলকমল ফাঁড়ি থেকে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে আনুষ্ঠানিকভাবে বাঘ গণনার কার্যক্রম শুরু হবে।
ইউএসএআইডির অর্থায়নে সুন্দরবন বিভাগ ও বেসরকারি সংস্থা ওয়াইল্ড টিমের ৬০ জন সদস্য প্রতি সপ্তাহে ৪৭৮টি ক্যামেরা থেকে প্রাপ্ত ফুটেজ সংগ্রহ করে তা ল্যাবে সংরক্ষণ করবে। এই পদ্ধতিতে সুন্দরবনে বাঘের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করা যাবে বলে নিশ্চিত করেছে সুন্দরবন বিভাগ।
২০১০ সালে বন বিভাগ ও ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশ যৌথভাবে সুন্দরবনে বাঘের বিচরণ পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে ওই জরিপ চালায়। সর্বশেষ সুন্দরবনের বাঘ গণনা জরিপ-২০১৫-এর ফলাফল অনুযায়ী বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬টি।
এর আগে জরিপে সুন্দরবনে ১৯৮২ সালে বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৫৩টি, ২০০৪ সালে ছিল ৪৪০টি। এবার সুন্দরবনকে শরণখোলা, চাঁদপাই ও খুলনা রেঞ্জেকে ৩ ব্লকে ভাগ করে বাঘ গণনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২০১৭ সালে সাতক্ষীরা রেঞ্জে বাঘ গণনা করা হয়েছে। এখন খুলনা ও বাগেরহাটের ৩টি রেঞ্জে একযোগে বাঘ গণনা করা হচ্ছে।
বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ও বাঘ গণনা প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর মদিনুল আহসান বলেন, ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড এই ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলে বাঘের সঠিক সংখ্যা কত তা জানতে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ গণনা শুরু হচ্ছে।
এসএস/