শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নিজেকে ইমাম মাহদী দাবি করা মাদরাসা শিক্ষক কারাগারে হারামাইনে আজ জুমার নামাজে ইমামতি করবেন যাঁরা ‘মার্চ ফর গাজা’য় অংশগ্রহণকারীদের জন্য জরুরি ৫ নির্দেশনা তালিবুল ইলমের আবশ্যকীয় পাঁচটি কাজ পাকিস্তানের সব সমস্যার পেছনে ইহুদি ষড়যন্ত্র থাকে: মাওলানা ফজলুর রহমান বাড়িতে বাবার লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিল নাহিদ মানবতার জন্য আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে: শায়খ আহমাদুল্লাহ ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার: বিএনপি মাদরাসাছাত্রদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে কাজ করছে এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র ল’ড়াই ফরজ: মুফতি তাকি উসমানি

মিশরে সাড়ে ৪ হাজার বছরের পুরনো সমাধির সন্ধান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পিরামিড, মমি, প্রাচীন মন্দির, স্থাপনা, মূর্তি আবিষ্কার করতে করতে পুরো বিশ্বের অনেকটা ধারণাই হয়ে গিয়েছিল, মিশরে বোধহয় নতুন করে আর আবিষ্কারের কিছু বাকি নেই। কিন্তু সেই ধারণাকে ভুল করে দিয়ে পুরাতত্ত্ববিদেরা খুঁজে বের করলেন আরও একটি সমাধি, যার বয়স প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর

মিশরের পুরাতত্ত্ব মন্ত্রণালয় শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, রাজধানী কায়রোর ঠিক বাইরে গিজা মালভূমির বিশ্বখ্যাত পিরামিডগুলোর কাছাকাছিই অবস্থিত এই নব আবিষ্কৃত সমাধিক্ষেত্র।

গিজার পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত বিশাল সমাধি অঞ্চলের বাইরের দিকে পাওয়া গেছে এই সমাধিটি। এই এলাকা মূলত প্রাচীন মিশরীয় সাম্রাজ্যের সমাধিস্থল হিসেবেই বেশি পরিচিত। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুসারে, নতুন সমাধিটি হেতপেত নামের এক নারী রাজ পুরোহিতের। ধারণা করা হচ্ছে, প্রাচীন পঞ্চম রাজবংশীয়দের খুব কাছের একজন ছিলেন এই হেতপেত।

আর সমাধিক্ষেত্রটি তৈরি হয়েছে আজ থেকে প্রায় ৪ হাজার ৪শ’ বছর আগে, অর্থাৎ খ্রিস্টপূর্ব ২৩শ’ অব্দের দিকে। গত শনিবারই সমাধিক্ষেত্রটি গণমাধ্যমের সামনে প্রথমবারের মতো তুলে ধরা হয়। পুরো স্থাপনাটি নির্মিত হয়েছে মাটির তৈরি ইট দিয়ে। দেয়ালগুলো জুড়ে রয়েছে নানা রকম প্রাচীন চিত্রকর্ম, যার বেশিরভাগই প্রায় অক্ষত অবস্থায় আছে। এমনকি ছবিগুলোর রঙও এখনো পরিষ্কার।

হেতপেত ছিলেন উর্বরতার দেবী হাথরের পুরোহিত। তাই সমাধির বিভিন্ন দেয়ালে আঁকা চিত্রকর্মে হেতপেতকে দেখা গেছে শিকার আর মাছ ধরার কাজে উপস্থিত থাকতে। মিশরীয় ফারাওদের সময় প্রায়ই পোষাপ্রাণী হিসেবে থাকত বানর। তাই চিত্রকর্মগুলোর কোথাও দেখা গেছে ফল কুড়াতে, কোথাও দেখা গেছে নাচতে। পুরাতত্ত্ব মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই প্রত্নতাত্ত্বিক খনন শুরু হয়েছিল গত নভেম্বরে। খনন অভিযানের প্রধান মোস্তফা আল-ওয়াজিরি আশা করছেন, আরও অনেক কিছু বাকি আছে সেখানে আবিষ্কার করার। মিশর সরকারের আশা, নতুন আবিষ্কারের ফলে দেশটির ভাটা পড়া পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার আসবে।

সূত্র: মিডিলিস্ট মনিটর

/এটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ