শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, সতর্ক থাকতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা

সারাদেশ আল্লামা শফীকে সম্মান করে, বাম নেতার প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম

সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জাসদের নাজমুল হক প্রধানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে বলেন, অসুস্থতার কথা শুনে মাওলানা শফীকে দেখতে যাই। সম্প্রতি হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে দেখতে গিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সারাদেশের মানুষ আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে অত্যন্ত সম্মান করে। তিনি হাটহাজারীতে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে তার অসুস্থাতার সংবাদ শুনে তাকে দেখতে যান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আল্লামা শফী শুধু আলেম সমাজের কাছে সম্মানিত নন, কওমি মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যানও। কওমি মাদ্রাসাকে সরকার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে। সেদিন তিনিও (শফি সাহেব) গণভবনে উপস্থিত ছিলেন।’

সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল পুলিশ ও সেনাবাহিনী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অধীনে হলে দেশ কীভাবে চলছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পাল্টা এই প্রশ্ন ছুড়ে দেন।

ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠক শুরু হওয়ার পর এই প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে, গতকাল শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দলের নির্বাহী কমিটির সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, বিএনপির কোনও ভয় নেই। বিএনপির সঙ্গে প্রশাসন আছে, পুলিশ আছে, সশস্ত্র বাহিনী আছে। এ দেশের জনগণ আছে। দেশের বাইরে যারা আছেন, তারাও বিএনপির সঙ্গে আছেন।

রোববার সংসদে সম্পূরক প্রশ্নে সরকারি দলের এমপি আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন এ বিষয়ে এবং খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে সম্ভাব্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চান।
জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মামলাটি এখনও বিচারাধীন। বিচারক জানেন কী রায় দেবেন। কিন্তু কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করলে বা ভাঙচুর করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। যারা পুলিশের ভ্যান ভাঙচুর করেছিল, ভিডিও দেখে তাদের শনাক্ত করা হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে।’

দেশে কাজ করছে ৮৫ হাজার বিদেশি

জাতীয় পার্টির এ কে এম মাঈদুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মোট ৮৫ হাজার ৪৮৬ জন বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে কাজ করছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৬৭ হাজার ৮৫৩ জন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। আর বিদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৫ হাজার ৩৮৬ জন ভারতের নাগরিক।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে বিশেষজ্ঞ হিসেব কাজ করছেন আট হাজার ৩শ জন, কর্মকর্তা তিন হাজার ৬৮২ জন, খেলোয়াড় বা ক্রীড়া সংগঠক দুই হাজার ১০৫ জন। এছাড়া, বিনিয়োগকারী ৯২২ জন, ব্যক্তিগত কর্মচারী ৮০৪ জন, বিভিন্ন যন্ত্রপাতির কারিগরি কর্মী ৭২৭ জন, এনজিও ব্যক্তিত্ব ৫৬১ জন, গবেষণা কাজে নিয়োজিত ৪০০ জন এবং হলিডে ওয়ার্কার ১৩২ জন।’

মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতের ৩৫ হাজার ৩৮৬ জন, চীনের ১৩ হাজার ২৬৮ জন, জাপানের চার হাজার ৯৩ জন, দক্ষিণ কোরিয়ার চার হাজার ৯৩ জন, মালয়েশিয়ার ৩ হাজার ৩৯৫ জন, শ্রীলঙ্কার তিন হাজার ৭৭ জন, থাইল্যান্ডের ২ হাজার ২৮৪ জন, যুক্তরাজ্যের এক হাজার ৮০৪ জন, যুক্তরাষ্ট্রের এক হাজার ৪৪৮ জন, জার্মানির এক হাজার ৪৪৭ জন, সিঙ্গাপুরের এক হাজার ৩২০ জন, তুরস্কের এক হাজার ১৩৪ জন নাগরিক বাংলাদেশে কাজ করছেন। বাকিরা অন্যান্য দেশের নাগরিক।

তরিকত ফেডারেশনের এম এ আউয়ালের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সময়ে অবৈধভাবে আসা চার হাজার ১৩০ দশমিক ২৫ কেজি স্বর্ণ আটক করা হয়।’

সরকারি দলের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘সীমান্ত অপরাধ দমন ও অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রাথমিক পর্যায়ে মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় শাহপরীর দ্বীপ থেকে ২৭১ কিলোমিটার রিং রোডসহ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এটি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।’

সরকারি দলের সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চার কোটি ৭৯ হাজার ৪৪৩ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। ইয়াবা পাচার রোধে টেকনাফে একটি স্পেশাল জোন করার প্রস্তাব সরকারের বিবেচনায় আছে।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ