আওয়ার ইসলাম: আগামী ১৫, ১৬, ১৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে গাজীপুর জেলা ইজতেমা। সে লক্ষ্যে চলছে প্রস্তুতি। তবে জেলার উলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে ইজতেমায় তাবলিগের ৬ মুরব্বিকে অংশ না নেয়ার জন্য চিঠি পাঠিয়েছে।
গত ৩ ফেব্রুয়ারী সকার ১০টায় গাজীপুর জেলা ইজতেমাকে সফল করার জন্য এক পরামর্শ সভায় ওই ৬ জনের ইজতেমায় অংশ না নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তারা হলেন, ১. ওয়াসিফুল ইসলাম ২. প্রফেসর ইউনুস সিকদার ৩. মুহাম্মদ নাসীম ৪. মাওলানা মোঃ আব্দুল্লাহ ৫. মাওলানা মনির বিন ইউসুফ ৬. মাওলানা মোশাররফ হোসাইন।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ১৫, ১৬, ১৭ ফেব্রুয়ারির গাজীপুর জেলা ইজতেমায় মাওলানা সাদের অনুসারীখ্যাত নিন্মবর্ণিত ব্যক্তিদের অংশ গ্রহণ ফিতনা ও বিশৃংখলা সৃষ্টির কারণ হবে। তাই উল্ল্যেখিত ব্যাক্তিদের জেলা ইজতেমায় না আসাই ভাল।
আপনাদের জানা থাকার কথা, মাওলানা সাদের আপত্তিকর কথাবার্তার কারণে কাকরাইল মারকাজে আভ্যন্তরীন সমস্যা বিরাজ করছে। এই সমস্যার সমাধানের পূর্বে আমাদের গাজীপুর জেলার আসন্ন ১৫, ১৬, ১৭ ফেব্রয়ারি এজতেমায় যেন উল্লেখিত ব্যক্তিগন অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকে।
গাজীপুরের উলামায়ে কেরামের পক্ষে চিঠি প্রেরণ করেন, মুফতি লেহাজ উদ্দিন ভুঁইয়া, মুহতামিম, জামেয়া আরাবিয়া, মোগরখাল। ২। মাওলানা গোলাম মাওলা, মুহতামিম, জামেয়া রশিদিয়া, বিএম টি এফ। ৩। মুফতি আতাউর রহমান, মুহতামিম, জামেয়া মাহমুদিয়া, দেশীপাড়া। ৪। মাওলানা ছানাউল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম, আল জামেয়া দারুল উলুম, হাড়িনাল। ৫। মাওলানা হাবিবুর রহমান মিয়াজী, মুহতামিম, জামেয়া ইসলামিয়া, গাজীপুর। ৬। মাওঃ ফজলুর রহমান, মুহতামিম, খালেকিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ৭। মুফতি আবদুল মান্নান
সাধারণ সম্পাদক, দারুল উলুম তরৎপাড়া। ৮। মুফতি জুলফিকার হায়দার মুহতামিম, নীলের পাড়া মাদরাসা।
উল্লেখ্য, এ চিঠি কাকরাইল মারকাজে পাঠানোর পাশাপাশি গাজীপুর জেলা প্রশাসক, উপ পরিচালক, জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও প্রেরণ করা হয়।
‘রুজুর পর পুনরায় ভুল করে বসেন মাওলানা সাদ’
মাওলানা সাদকে নিয়ে দেওবন্দের শঙ্কার ব্যাখ্যা দিলেন ৩ আলেম