আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হুজুর বলেছেন, সৎ ও আল্লাহভীরু লোকদের পরিবর্তে চরিত্রহীন ও দূর্নীতিবাজরা সমাজ ও রাষ্ট্রের কর্ণধার হয়ে যাওয়ার ফলে সর্বত্র চরিত্রহীনতা, মূল্যবোধের অবক্ষয়, হত্যা, গুম-খুন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
দলীয় আভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে কোমলমতি স্কুলশিক্ষার্থীদের হাতেও অস্ত্রের ঝনঝনানি দেখা যাচ্ছে। সহপাঠীর হাতে সহপাঠী খুনের ঘটনা ঘটছে। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে এক ছাত্রী আর এক ছাত্রীর কাপড় টেনে খোলার মত নিলর্জ্জ ঘটনাও প্রত্যক্ষ করতে হয়েছে দেশবাসীকে।
উচ্চ আওয়াজে গান-বাজনা বন্ধ করতে বলায় এক বৃদ্ধ খুন হওয়ার ঘটনা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং সমাজের মূল্যবোধের ভিত্তিগুলো ভেতরে ভেতরে ধসে পড়ার একটি চিত্র প্রকাশিত হয়েছে এর মাধ্যমে। এখনই এসবের বিরুদ্ধে সজাগ না হলে এ সমাজ পশুর সমাজে পরিণত হতে সময় লাগবে না।
আজ শনিবার সকাল ১০.০০ টায় খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির (মজলিসে আমেলা) মাসিক বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর আলহাজ আনিসুর রহমান জিন্নাহ, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শেখ আজিমুদ্দীন, আলহাজ আব্দুল মালেক চৌধুরী, মাওলানা ইলিয়াস মাদারীপুরী, মাওলানা রুহুল আমীন, মাওলানা মিনহাজ উদ্দীন, মুফতি মামুনুর রশিদ, মাওলানা সানাউল্লাহ, মাওলানা ফিরোজ আশরাফী, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মো: মোফাচ্ছির হোসাইন প্রমুখ।
মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ আরো বলেন, সামাজিক মূল্যবোধের এই অবক্ষয়ের চিত্র দেখার পরও সরকারের এক মন্ত্রী গতকাল এক অনুষ্ঠানে বলেছেন ‘বিবস্ত্র নারীর চিত্ররুপ লিঙ্গবৈষম্য দূর করার প্রেরণা’। তার এই বক্তব্য নির্লজ্জতার বহি:প্রকাশ, অশ্লীলতাকে আরো উসকে দেয়ার নামান্তর।
মাওলানা আতাউল্লাহ সংশ্লিষ্ট সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, সমাজকে রক্ষা করতে চাইলে সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়কে ত্বরান্বিত করবেন না। অন্যথায় সমাজে কেবল মানবরুপী পশুরই দেখা মিলবে।