মুহাম্মদ আমিমুল ইহসান: চীনের কারাগারে শায়খ মুহাম্মদ সালেহ কাশগরি উরতুজি গত ২৯ জানুয়ারি ইন্তিকাল করেন। তিনি দীর্ঘ দিন গৃহবন্দি ছিলেন।
শায়খ সালেহ উইঘুর মুসলমানদের অধিকার নিয়ে কথা বলতেন। উইঘুর ভাষায় কুরআনে কারিমের অনুবাদ ও তাফসির করেন। যা মুজাম্মা মালিক ফাহাদ প্রিন্টিং প্রেস মদিনা মুনাওয়ারা থেকে প্রকাশিত।
তিনি একমাস আগে চিনের সরকারি বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন। ১৯৩৯ ইসায়িতে পশ্চিম তুর্কিস্তান কাশগর শহরের নিকটবর্তী উরতুজ গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। দীনি পরিবারে বেড়ে উঠেন। ১১ বছর বয়সে কুরআন হিফজ সম্পন্ন করেন।
১৯৫৬ সালে তিনি ইসলামিক সাইন্স ইনিষ্টিটিউট অফ বেইজিং(Islamic Science Institute in Beijing) ভর্তি হন। আল-আযহারসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষকদের কাছে থেকে ইলমে দীন হাসিল করেন।
কুরআন, হাদিস, ফিকহ, তাফসিরে তার পাণ্ডিত্যের সুনাম রয়েছে পুরো তুর্কিস্তানসহ চিনের সর্বত্র।
উইঘুর ভাষায় তার অমর রচনাবলীর মধ্যে রয়েছে, ১. তাফসিরুল কুরআন, ২. বুখারীর শরাহ কাসতাল্লানির অনুবাদ, ৩. নুরুল ইয়াকিন ফি সিরাতে সাইয়েদিল মুরসালিন-এর অনুবাদ, ৪. রিয়াযুস সালেহিনের অনুবাদ, ৫. আম্মা পারা অনুবাদ, ৬. দিওয়ান ওয়া কাসায়েদ।
তিনি ১৯৯২ সালে সৌদি বাদশাহ মালিক ফায়সাল পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হন। মরক্কোর বাদশাহ হাসান সানি, মিসরের শাসক হোসনি মোবারক ও কাজাখিস্তানের বাদশাহ নূর সুলতান কর্তৃক বিশেষ সম্মামনা ও পুরস্কার লাভ করেন।
পূর্ব তুর্কিস্তান এখনো সাম্রাজ্যবাদি চায়নাদের দখলে রয়েছে। তিনি আল-জামইয়্যাতুল ইসলামিয়া চিনের সভাপতি ছাড়াও আরো বিভিন্ন সংস্থার মুদির হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব আঞ্জাম দেন।
East Turkestan Muslim Scholars Associations তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে এবং চায়না জান্তার হাতে বন্দি শায়খের পরিবারের সদস্যদের মুক্তির জন্য রাবেতা আলমে ইসলামিসহ মুসলিম নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করেন।
মহান আল্লাহ এ মহান মুবালিগকে তার রহমতের সামিয়ানায় স্থান করে দিন।
মাওলানা সাদকে নিয়ে দেওবন্দের শঙ্কার ব্যাখ্যা দিলেন ৩ আলেম