আবদুল্লাহ তামিম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইরানে বাধ্যতামূলক হিজাব পরিধানের প্রতিবাদে রাস্তার মোড়ে মোড়ে চেহারা খুলে হিজাব উড়িয়ে অবস্থান করে কয়েকজন নারী।
ইরানের হিজাব পরিধান বাধ্যতামূলক করার পর হিজাবের প্রতিবাদে ইরানী সক্রিয় নারী কর্মীরা জনসমক্ষে নিজেদেরকে অভিনব কায়দায় প্রকাশ করে হিজাবের বাধ্য-বাধকতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানায়।
ইরানের মতো দেশ যেখানে ১৯৭৯ সাল থেকেই ধর্মীয় অনুশাসন অনুযায়ী নারীদের ‘জোরপূর্বক’ স্কার্ফ পড়তে বাধ্য করা হয়, সেখানে এই দৃশ্য কল্পনাই করা যায় না।
তবে, গত ডিসেম্বরে এই অনুশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এমনই একঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি মেয়েকে জেলে নেয়া হয়েছিলো। সেই নারী তখন ইরানে হিজাব বিরোধী প্রতিবাদের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিলো। তার ছবি ভাইরাল হয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।
তবে সম্প্রতি তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মানবাধিকার আইনজীবী নাসরিন সতুদেহ। এরই মধ্যে, একইভাবে প্রতিবাদ জানান আরো কয়েকজন নারী। তাদের ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এদের একজনকে সেই আগের জায়গাতেই প্রতিবাদ করতে দেখে যায়। উঁচু জায়গায় লাঠির মাথায় হিজাব বেঁধে উড়াচ্ছে।
গত সোমবার নার্গিস হোসেনী নামে একটি মেয়েকে গ্রেফতার করা হয় একই কারণে। তাকে তেহরানের কেন্দ্রস্থল একটি বিদ্যুৎ বাক্সে দাঁড়িয়ে মাথার হিজাব খুলে উড়াতে থাকে।
এদিকে ইরানের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা ও দুই মাস জেলের মেয়াদ বাড়িয়ে দেয় এই অপরাদে।
তবে আদালতে সম্প্রতি আটককৃত নারীদের মধ্যে একজনকে মুক্ত করার জন্য ১২৫ হাজার ডলারের বিনিময়ে আবেদন করা হয়েছে বলে জানা যায়। সূত্র: ডেইলি মেইল