রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৭ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
আবারও সোনার দামে রেকর্ড ডেমরা যাত্রাবাড়ীর ৬০০ শিক্ষার্থীকে ট্রাফিক সম্মাননা প্রদান কিশোরগঞ্জ নিকলীর হিলচিয়া মাদরাসা থেকে ছাত্র নিখোঁজ, সন্ধান চেয়ে পরিবারের আকুতি হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর কমিটি ঘোষণা উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই: ধর্ম উপদেষ্টা পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে আলেম অন্তর্ভুক্তির দাবি হেফাজতে ইসলামের সিংগাইরে হেফাজতে ইসলামের গণসমাবেশ ২৯ সেপ্টেম্বর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা হলে ‘হাত ভেঙে’ দেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘জুলাই বিপ্লবে আলেম-শিক্ষার্থীদের অবদান ও প্রত্যাশা’ নিয়ে আলোচনা সভা সোমবার সিলেটে অনুষ্ঠিত বিহানের ‘লেখালেখি ও এডিটিং কর্মশালা’

৪০ বছর পর নিখোঁজ বাবাকে ফিরে পেলেন ছেলে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ডেস্ক: নিখোঁজের ৪০ বছর পর অবশেষে বাবা রুহুল আমিন গাজীকে খুঁজে পেলেন ছেলে শাহিদুল ইসলাম। গতকাল মঙ্গলবার কুমিল্লার লাকসামের দৌলতগঞ্জ বাজারে বাবাকে কাছে পেয়ে আত্মহারা সন্তান। তাঁদের বাড়ি খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তর বেতকাশী গ্রামে। শাহিদুলের জন্মের কয়েক মাস পর নিখোঁজ হয়েছিলেন তাঁর বাবা। ফলে বাবার মুখ দেখার সুযোগ হয়নি সন্তানের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ৪০ বছর ধরে কুমিল্লার লাকসামের বিভিন্ন হাট-বাজার ও পথে-প্রান্তরে ঘুরে বেড়িয়েছেন রুহুল আমিন গাজী নামের ওই ব্যক্তি। প্রতিদিন নামাজ, রোজা আর মানুষের দানে চলছিল তাঁর জীবন। কিন্তু কেউ জানতে পারেনি এই মানুষটি তাঁর পরিবার থেকে নিখোঁজ। নিজের মতো করে ঘুরে-ফিরে কখনো মসজিদ-মক্তব, কখনো রেলস্টেশন-স্কুল-কলেজের বারান্দায় ও খোলা আকাশের নিচে জীবন কেটেছে তাঁর।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি লাকসাম পৌর শহরের দৌলতগঞ্জ বাজারে রুহুল আমিন গাজীর সঙ্গে দেখা হয় উপজেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের সঙ্গে। এরপর অসুস্থ রুহুল আমিন গাজীর খোঁজ-খবর নেন। আলাপচারিতায় মিজানুর জানতে পারেন তাঁর বাড়ি খুলনা জেলার কয়রা থানার উত্তর বেতকাশী গ্রামে। ৪০ বছর আগে ভারতের আজমীর শরিফ যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। এরপর সিলেটের হজরত শাহজালাল (রাঃ)-এর মাজারে চলে যান। কিছুদিন মাজারে অবস্থানকালে স্বপ্নে দেখেন তিনি একজন আধ্যাত্মিক ফকির। পরে সেখান থেকে রওনা হন চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হলেও তিনি পথিমধ্যে কুমিল্লার লাকসামে নেমে পড়েন। সেই থেকে লাকসামে কাটিয়ে দিয়েছেন জীবনের ৪০টি বছর।

মিজানুর রহমান জানান, ওই বৃদ্ধের নাম-ঠিকানা জানতে পেরে আমি ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ করি খুলনা জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আজগর হোসেন সাব্বিরের সঙ্গে। আজগর হোসেন সাব্বির কয়রা থানা জাতীয় পার্টির সদস্যসচিব গাজী আবদুস ছামাদকে বৃদ্ধের গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে রুহুল আমিন গাজীর সন্ধানের খবর স্বজনদের জানান। পরে ওই বৃদ্ধের স্বজনরা আমার সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। খুলনা থেকে ওই বৃদ্ধের ছোট ছেলে শাহিদুল ইসলামসহ স্বজনরা এসে লাকসাম বাজারে এসে রুহুল আমিন গাজীকে দেখতে পান।

গতকাল বিকেলে রুহুল আমিন গাজীর ছেলে শাহিদুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা তিন ভাই, দুই বোন। এর মধ্যে মেঝ ভাই মারা গেছেন। আর বড় ভাই নুরুল ইসলাম মানসিক রোগী। আমার মা এখনো জীবিত আছেন। জন্মের পর বাবাকে হারিয়েছি। নিজের জ্ঞান-বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে কত জায়গায় বাবাকে খুঁজেছি তার কোনো হিসাব নেই। যাক অবশেষে আল্লাহর রহমত ও লাকসামের মানুষের সহযোগিতায় বাবাকে ফিরে পেয়েছি। বাবা বলে ডাকতে পেরেছি।

সুত্র: কালের কন্ঠ।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ