আওয়ার ইসলাম : দেশের বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ৪ দশমিক ৬ মাত্রায় ভূমিকম্পটি ভারতের আসামে উৎপত্তিস্থল বলেও জানা যায়।
এরমধ্যে, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট ও নীলফামারীসহ দেশের কয়েকটি স্থানে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
শনিবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে হঠাৎ করে থর থর করে কেপে ওইসব এলাকা। এ কম্পনের স্থায়ীত্বকাল ছিল প্রায় ৮ সেকেন্ড।
এছাড়া, উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত ভোররাতে ভূমিকম্প হয়েছে বলে জানা যায়। তাবে এ ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সকালের প্রচন্ড শীতে কম্পনের সময় লোকজন ঘুমিয়ে থাকায় জনসাধারণের মাঝে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়নি।
তবে সকালে রাস্তায় বেড়িয়ে আসা ও জেগে থাকা মানুষের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। অনেককে বাড়ি ঘর ছেড়ে খোলা জায়গায় যেতে দেখা যায়।
এর আগে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ভারতের মণিপুর রাজ্যের রাজধানী ইম্ফল থেকে ৩৩ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তর-পূর্বে এবং ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে মে মাসে নেপালে বেশ কয়েকটি বড় মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এতে আট হাজারের বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। আর এ ভূকম্পনে কেঁপে ওঠে বাংলাদেশও।
এতে বাংলাদেশে কোনো প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও দেশের বিভিন্ন স্থানে বহুতল ও পুরাতন ভবনে ফাটল দেখা দেয়; আতঙ্কে মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বের হয়ে আসে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশও বেশ বড় মাত্রার ভূমিকম্প ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, রিখটার স্কেলে ৪ থেকে ৪ দশমিক ৯ মাত্রার কম্পনকে মৃদু ভূম্পিকম্প হিসেবে ধরা হয়। আর ৫ থেকে ৫ দশমিক ৯ মাত্রাকে ‘মাঝারি’, ৬ থেকে ৬ দশমিক ৯ মাত্রা হলে ‘শক্তিশালী’, ৭ থেকে ৭ দশমিক ৯ মাত্রাহলে ‘ভয়াবহ’ এবং ৮ বা এর বেশি মাত্রায় ভূমিকম্প হলে এক ‘অত্যন্ত ভয়াবহ’ ভূমিকম্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়।