শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নিজেকে ইমাম মাহদী দাবি করা মাদরাসা শিক্ষক কারাগারে হারামাইনে আজ জুমার নামাজে ইমামতি করবেন যাঁরা ‘মার্চ ফর গাজা’য় অংশগ্রহণকারীদের জন্য জরুরি ৫ নির্দেশনা তালিবুল ইলমের আবশ্যকীয় পাঁচটি কাজ পাকিস্তানের সব সমস্যার পেছনে ইহুদি ষড়যন্ত্র থাকে: মাওলানা ফজলুর রহমান বাড়িতে বাবার লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিল নাহিদ মানবতার জন্য আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে: শায়খ আহমাদুল্লাহ ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার: বিএনপি মাদরাসাছাত্রদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে কাজ করছে এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র ল’ড়াই ফরজ: মুফতি তাকি উসমানি

বিজ্ঞান কি ইয়াহুদি, খ্রিষ্টানদের আবিষ্কার? নাকি মুসলমানদের?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সুফিয়ান ফারাবী

বর্তমান যুগকে বলা হয় আধুনিক যুগ, উন্নত যুগ এবং আধুনিকতার দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা যুগ। এ যুগের মানুষ কিছু ভাবতে পারে না বিজ্ঞান ছাড়া, কিছু করতে পারে না প্রযুক্তি ছাড়া। সবকিছুতেই চায় বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির ছোঁয়া।

আমি বিজ্ঞান পড়ি না, আমি পড়ি কওমী মাদরাসায়। যেখানে দেওয়া হয় শুধু খালেছ দীনি শিক্ষা। কিন্তু আমি বিজ্ঞান কে প্রশ্নবিদ্ধ করা পছন্দ করি না। বরং বিজ্ঞানের যথাযত প্রশংসা করতে সচেষ্ট থাকি। আর বিজ্ঞানিদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।

তবে বিজ্ঞানের ইতিহাসকে আমি চরম ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করব। কারন বিজ্ঞানের যে ইতিহাস তুলে ধরা হচ্ছে তা একদম অযথাযত এবং মিথ্যা। বর্তমান যুগে তুলে ধরা হচ্ছে, জ্ঞান বিজ্ঞানের যতটুকু কল্যাণ হয়েছে যতটুকু উন্নতি হয়েছে তার সবটুকুই সাধন করেছে খ্রিস্টান আর ইয়াহুদিরা। এর মাঝে মুসলমানদের সামান্য অবদানও নেই। আসল ঘটনা যদি সামান্য একটু ঘেটে দেখি, তাহলে দেখবো ব্যাপারটা পুরোপুরি উল্টো।

আসল ঘটনা হলো জ্ঞান বিজ্ঞানে সবচেয়ে বেশি অবদান মুসলমানদের। এটাই সত্যকথা।যা ইতিহাস তার পাতায় ধরে রাখতে সক্ষম হয় নি। বাধ্য হয়ে মুছে ফেলতে হয়েছে।

সবচেয়ে জনহিতকর বিজ্ঞান হচ্ছে ‘স্বাস্থ্য বিজ্ঞান’ যা ছাড়া মানুষের জীবন কাটানো প্রায় অসম্ভব । আর এই স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানী ছিলেন ইবনে সিনা রহ.। তিনি ছিলেন মুসলমান, সাথে সাথে একজন কুরআনের হাফেজও। কিন্তু বর্তমান সময়ে কজন বিজ্ঞানী তার কৃতকর্মের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে!

বর্তমান সময়ে পদার্থ বিজ্ঞানকে দেখা হয় হাই লাইট করে।এবং উন্নতির সোপান হিসেবে দেখা হয় এ বিজ্ঞানকে।আর এ বিজ্ঞানে প্রথম ‘শুণ্যতা’র অবস্থান প্রমান করেছিলেন আবু নাসের মুহাম্মদ আল ফারাবী। তিনি ছিলেন একজন মুসলিম এবং ধর্মপ্রান মানুষ।

শুধু তাই নয় এই পদার্থ বিজ্ঞানের দ্বিতীয় আইনিস্টাইন বলাহয় আল ফাহামী রহ. কে। তিনিও ছিলেন একজন ধর্মপ্রান মুসলমান। আর তার দেওয়া অনেক থিওরী রয়েছে পদার্থ বিজ্ঞানে। যা ছাড়া অচল পদার্থ বিজ্ঞান।

পাঠক বন্ধুরা! আমি সামান্য খুজেছি, সামান্য ঘেটেছি তাতে আমি যা জানতে পেরেছি এবং বুঝতে পেরেছি তাতে আমার মনে হয় যদি মুসলিম সাইন্টিস্টদের সুত্র ও থিওরী বাদ দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে বর্তমান যুগের বিজ্ঞানের ধারক বাহকরা বিজ্ঞানের অস্তিত্ব রক্ষায় হুমকির মধ্যে পড়ে যাবে।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ