আওয়ার ইসলাম : নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, শামীম ওসমান আমার ওপর হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশ পেয়ে তার লোকজন ইট-পাটকেল ছোড়ে। এতে আমি আহত হই।
হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি আহত অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে অবস্থান নিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় রাস্তায় হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সাংসদ শামীম ওসমান ও মেয়র আইভীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো সংঘর্ষ চলছে। এতে মেয়র আইভীসহ অন্তত ৫০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, এটা নিরস্ত্র লোকের সশস্ত্র হামলা। মৃত্যুকে আমি ভয় পাই না। শান্তিপূর্ণভাবে হেঁটে আসছিলাম। চাষাঢ়ার রাইফেলস ক্লাবে বসে শামীম ওসমান আমার ওপর হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশ পেয়ে তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় মেয়র আইভী অবিলম্বে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের পদত্যাগ দাবি করেন। মেয়র আইভী বলেন, ঘটনাস্থল চাষাঢ়ায় পুলিশ থাকলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। শামীম ওসমানের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল পুলিশ।
পুলিশের নীরব ভূমিকার ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মইনুল হক বলেন, আমরা উভয় পক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছি। জানমালের নিরাপত্তা দিতে চেষ্টা করেছি। আমাদের কোনো গাফিলতি ছিল না।