মাইনুদ্দিন তাওহিদ, তানজিল আমির
ইজতেমার মাঠ থেকে
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতিমার দ্বিতীয় দিনে ইজতেমার মাঠে অবস্থানরত কাকরাইলের শুরার আলেম উপদেষ্টাদের জিম্মাদার জাময়িা ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়ার মুহতামিম মহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে জর্দানের দাওয়াত ও তাবলিগের মারকাজ আমির শায়েখ ওমর আল-খতীব সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এসময় আল্লামা মাহমুদুল হাসান দাওয়াত ও তাবলিগের কাজকে আরো গতিশীল এবং পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়াসহ নানান দিক নিয়ে তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
আল্লামা মাহমুদুল হাসান বলেন, জিহাদের জন্য প্রয়োজন শিদ্দত ও কুওয়াত, দাওয়াতের জন্য প্রয়োজন মাওয়ায়েজ ও হিকমত, তালিমের জন্য প্রয়োজন শফকত এবং মুহাব্বাত।
এসময় শায়েখ ওমর আল খতীব দাওয়াত ও তাবলিগের এই মহৎ কাজের সাথে আলেমদের সম্পৃক্ততা এবং তাদের এই কাজে নেতৃত্বদান করে দাওয়াত এর কাজকে সুশৃঙ্খ ও সুন্দরভাবে পরিচালনা করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
এবারের ইজতেমায় আলেমদের ব্যাপক অংশগ্রহণ করার ভূয়সী প্রসংসা করেন তিনি।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জর্ডান মারকাজের শায়েখ ইবরাহিম হাকেম, শায়েখ ইবরাহিম ইসমাঈল হাসান আবু উবাইদ, ড. ইবরাহিম মাহমুদ আব্দুর রহমান, মুহাম্মাদ আল খতীব প্রমুখ।
এছাড়াও একইদিনে শুরার উপদেষ্টাদের জিম্মাদার আল্লামা মাহমুদুল হাসানের সাথে অফ্রিকা মারকাজ এবং জাযাএরিয়ার মারকাজের তাবলিগের সাথীরা সাক্ষাতে মিলিত হন।
ভারতের মেওয়াতের ভাই হারুন বেশ কয়েকটি প্রশ্ন নিয়ে আল্লামা মাহমুদুল হাসানের মুখোমুখি হন।
মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে ইজতিমায় অংশগ্রহণ না করার কারণ জানতে চান অনেকেই। তখন আল্লামা মাহমুদুল হাসান বলেন, বিষয়টা সরকারের শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত। সেইসাথে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর আসার পদ্ধতিটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ছিল না। যেহেতু মাওলানা সাদ কান্ধলভীর আসা না আসা নিয়ে কাকরাইলে শূরা , ওলামায়ে করাম এবং সরকারের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক সংকট সমাধানের প্রক্রিয়া চলছে। এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছিল, সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তিনি এবং দিল্লির নিযামুদ্দিনের মারকাজের বাইরের মুরুব্বিরা না এস তাদের প্রতিনিধিগণ ইজতেমায় অংশ নেবেন। এই পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বাংলাদেশে আসাটা মোটেও উচিৎ হয়নি।
এছাড়াও, বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং কাকরাইলের আলেম উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য আল্লামা আশরাফ আলীর সঙ্গেও দেশ-বিদেশের আলেম-ওলামা , তাবলিগের সাথী এবং বিদেশী মেহমানরা সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।
তিনি সকলকে দোয়া, জিকিরি , সালাতুল হাজত পড়ার উপদেশ দেন।তাবলিগের মতো আলমী কাজের সুষ্ঠ সমাধান হওয়া এবং সহিহ পথে পরিচালিত হওয়ার ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এছাড়াও, তাবলিগের আলেম উপদেষ্টাদের সদস্য, বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস, মারকাযুদ দাওয়া আল-ইসলামিয়ার আমিনুত তালিম মাওলানা আব্দুল মালেক, পটিয়া মাদরাসার নাযেমে তালিমাত মুফতি শামসুদ্দিন জিয়া, শায়েখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ, আফতাব নগর মাদরাসার মুহতামিম মুফতি মোহাম্মাদ আলী, জামিয়া রাহমানিয়ার শাইখুল হাদিস মাওলানা মামুনুল হক , শিবচর জামিয়াতুস সুন্নাহ-এর মুহতামিম ও শাইখুল হাদিস মাওলানা নেয়ামাতুল্লাহ আল ফরিদী, লেখক ও সাংবাদিক মাওলানা শরিফ মুহাম্মাদ, আম্বরশাহ মসজিদের খতিব মাওলানা মাজহারুল ইসলাম, দত্তপাড়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা শওকত হুসাইন সরকারসহ প্রমুখ শীর্ষস্থানীয় আলেম ইজতিমার মাঠে উপস্থিত ছিলেন।