যাত্রাবাড়ী থেকে হাওলাদা জহিরুল ইসলাম: ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভীর আসাকে কেন্দ্র করে যাত্রাবাড়ীতে কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সামনে বিক্ষোভের পর সাংবাদ সম্মেলন করেছেন দেশের শীর্ষ আলেমগণ।
সংবাদ সম্মেলনে বেফাকের সিনিয়র সহসভাপতি ও তাবলিগের শুরার উপদেষ্টা আল্লাম আশরাফ আলী বলেন, সরকার কর্তৃক গঠিত ওলামায়ে কেরাম ও তাবলিগের মুরুব্বীদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মাওলানা সাদের বিশ্ব ইজতেমোয় আসার ষড়যন্ত রুখে দেয়া হবে। মাওলান সাদ যদি চলেও আসেন তাহলে বিমানবন্দর থেকে ফিরে যেতে হবে। অন্যথায় ওলামায়ে কেরাম যে কোনো পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে
বেফাকের মহা সচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দস বলেন, মাওলানা সাদ দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত আকাবিরে আসলাফের মানহাজের বিপরীতে বিভিন্ন বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে আসছেন। এমনকি তিনি কুরআন হাদিসেরও অপব্যাখ্যা করছেন।
বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন মাওলানা সাদ; উত্তেজনা
আমরা গত বছর চেস্টা করেছিলম তিনি যেন ইজতেমায় না আসেন।এ বছরও সরকারের তত্বাবধানে একটি কমিটি গঠন হয় কমিটির সংখ্যঅগরিষ্ঠ সদস্য এবং সভাপতি মাহমুদুল হাসান মাওলানা সাদের ইজতেমসায় না আসার মতামত দেন এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কছে সেই মতামত হস্তান্ত করেন। এরপরেও মাওলানা সাদ কিভাবে বাংলাদেশে আসেন আমরা তা জনি না।
বেফাকের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মাহফুজল হক বলেন, আমরা দেওবন্দ সফর করেছি, নিজামুদ্দিন সফর করেছি তারপর শুরা কমিটির কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। এর পর শুরা কমিটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তা হস্তান্তর করেছেন।
মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওলামায়ে কেরামকে আশ্বস্ত করেছিলেন ওলামায়ে কেরামের সিদ্ধান্তের বাইরে কিছুই করা হবে না। কিন্তু এখন কার ইশারায়, কার সহযোগিতায় মাওলানা সাদ বাংলাদেশে আসছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, হাটহাজারী মাদরাসার মুফতি কেফায়েতুল্লাহ, বাইতুন মাদরাসার মুহতামিম মুনিরুল ইসলাম, বেফাকের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা আবু ইউসুফ, মুফতি ফয়জুল্লাহ, কাকরাইল সহ যাত্রবাড়ী মারকায়ের মুরুব্বীগণ।
এসএস/