আওয়ার ইসলাম: ইজতেমায় অংশ নিতে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভির নিরাপত্তায় মসজিদটি ঘিরে রেখেছে অসংখ্য পুলিশ। যাতে তিনি থাকা অবস্থায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে কারণে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মাওলানা সাদকে কেন্দ্র করে সারাদেশে উত্তেজনা দেখা দেয়। সকাল থেকেই আলেম উলামা ও তাবলিগের সাথীরা বিক্ষোভ করেন ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে। বিমানবন্দর ঘিরে রাখে অসংখ্য জনতা।
জানা যায়, সাধারণ মানুষ কাকরাইল মসজিদের আশপাশে ভিড়তে পারছেন না। তাদেরকে সেখান থেকে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার নাবিদ কামাল শৌবাল মিডিয়াকে জানান, আমরা এখানে নামাজের জন্য আসা মুসল্লিদের আশপাশের অন্য মসজিদের নামাজ পড়ার জন্য অনুরোধ করছি। নিরাপত্তার স্বার্থেই এমনটি করা হচ্ছে। এখানে কোনোরকম বিশৃঙ্খলার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আমরা জানতে পেড়েছি এখানে বিশৃঙ্খলা বা সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। সেজন্য রাজধানীর কয়েকটি জোনের পুলিশ সদস্য এখানে এসেছে। সারারাত এখানে পুলিশি নিরাপত্তা থাকবে।
আলেমদের একটি সূত্রে জানা গেছে, মাওলানা সাদ ইজতেমায় অংশ নিতে পারবেন কিনা এ বিষয়ে আলেমদের সঙ্গে বৈঠকের আলোচনা চলছে। আগামী কাল তা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। তবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। এর আগে কাকরাইলেই আলেমদের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে মীমাংসাকারী পক্ষ এখনো অগ্রসর হতে পারেনি।
কাকরাইল মারকাজে পৌঁছেছেন মাওলানা সাদ
এবারের ইজতেমায় মাওলানা সাদের অংশ নিতে গত কয়েক মাস ধরেই দফায় দফায় আলোচনা বৈঠক চলছে। আলেম ও তাবলিগের শুরা সদস্য এমনকি প্রশাসনের সঙ্গেও বৈঠক হচ্ছে। বৈঠকে তার উপস্থিত মঙ্গলজনক নয় বলে সিদ্ধান্ত হলেও মাওলানা সাদ আজ দুপুরে চলে আসেন।
জানা যায়, মাওলানা সাদ এখন প্রশাসনের পূর্ণ নিরাপত্তায় কাকরাইলে অবস্থান করছেন। তার সঙ্গে এ মুহূর্তে সাতজন মসজিদে অবস্থান করছেন।
এদিকে সন্ধ্যায় তাবলিগ-জামাতের একটি অংশ রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে সাথে সাথে তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার মিডিয়াকে বলেন, যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কাকরাইল মসজিদ ও তার আশ-পাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
প্রিয় ভাই সাদ! হাসিমুখে ফিরে যান; সিংহাসন আপনাকে ডেকে আনবে