আওয়ার ইসলাম : লাখ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার কারণে উখিয়া এবং টেকনাফের স্থানীয় বাসিন্দারা পড়েছে অনেক বিপাকে। বিষয়টি চিন্তা করে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি পরিবারগুলোকে খাদ্য সাহায্যের আওতায় আনা হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয় বলছে এই সহযোগিতার আওতায় পড়বে প্রায় ২০ হাজার পরিবার।
বিবিসি বাংলাকে এ প্রসঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল বলেন, বিষয়টি অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ এবং স্থানীয় জনগণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অনেকগুলো উদ্যোগ আছে। প্রথম উদ্যোগ হলো গরীব মানুষকে ভিজিএফ এর আওতায় খাদ্য সহায়তা দেওয়া। দ্বিতীয় উদ্যোগ হচ্ছে, রোহিঙ্গারা আসায় অনেক স্কুল কলেজ নষ্ট হয়েছে, আমরা বিভিন্ন ডেভোলপার পাটনার্সকে বলেছি এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে এবং এ বিষয়ে অনেক সাড়াও এসেছে। আর তৃতীয় উদ্যোগ হচ্ছে যে সব রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো ঠিক করা।
আপনারা যে খাদ্য সহায়তা দেবেন সেটা কেমন ধরণের খাদ্য সহায়তা হবে এবং সেটা কিভাবে দিবেন?
এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভিজিএফ’এর মাধ্যমে খাদ্য সহযোগিতা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে এবং এটা আমরা খুব তাড়াতাড়ি বাস্তবায়ন করবো বলেও আশা করছি। আর এখন বাংলাদেশে সব পরিবারকে খাদ্য সহযোগিতা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র যে মানুষগুলো খাদ্য সংগ্রহ করতে পারে না তাদেরকেই খাদ্য সহযোগিতা দেওয়া হবে। এই পরিবারগুলোকে বিনামূল্যে প্রতিমাসে ২০ কেজি বা ৩০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।
কত মানুষকে এই খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে সেটার কী কোনো ধারণা পেয়েছেন?
এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংসদ সদস্য এবং স্থানীয় জন প্রতিনিধি রয়েছে তাদের সাথে আমরা আলাপ আলোচনা করেছি এটা আনুমানিক ২০ হাজার পরিবার হবে। যদি ২০ হাজার পরিবার হয় তাহলে হয়তো লাখের কাছাকাছি মানুষ হবে।
খাদ্য সহায়তা দিবেন কিন্তু এই মানুষগুলোর জীবনের এবং কর্মসংস্থানের উপর যে প্রভাব পড়েছে সেটা মোকাবেলা করতে সরকার কী ধরণের সহায়তা করবে?
এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানেতো উন্নয়নমূলক অনেক কাজ সরকার করে দিচ্ছে তার মধ্যে রাস্তা, স্কুল-কলেজ ছাড়াও আরও অনেক কাজ করে দেওয়া হচ্ছে। আর বিভিন্ন পক্ষ থেকে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতাও করা হচ্ছে। আমি মনে করি তাদেরকে সাপোর্ট দেওয়া প্রয়োজন সেটা সরকার দিচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের সহায়তা করার যে বিষয়টি সেটাতো বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে পাচ্ছে কিন্তু যে রোহিঙ্গাদের কারণে বাংলাদেশিদের এই পরিস্থিতি তাহলে এই বাংলাদেশি পরিবারগুলোকে কী আন্তর্জাতিক সহায়তার আওয়াতায় আনা যাবে, এই বিষয়ে আপনারা কী কিছু ভেবেছেন?
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের একটি মিটিং হয়েছে ইউএন এজেন্সিগুলোর সাথে। সেখানে আমরা বলেছি তাদেরকে কিভাবে সাহায্য সহযোগিতা করা যায়। আমরা আশা করছি ওই দিক থেকে কোনো একটা সাপোর্ট অবশ্যই আসবে।
যে লাখ লাখ রোহিঙ্গা এসে আশ্রয় নিয়েছে তাদের সাথে অনেক বাঙালী পরিবারের ঘরবাড়ি মিশে আছে এটা কী স্ট্রিম লাইন করে এক জায়গায় নিয়ে আশা কী সম্ভব হবে?
এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আগের কথা ছিল। যে স্থানীরা পরিবারগুলো বাসা বাড়িতে ছিল তাদেরকে ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।