শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, সতর্ক থাকতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা

শায়েখে ছানিকে মনে পড়ে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাহদি হাসান সজিব

তিনি ছিলেন সাইয়্যেদ হুসাইন আহমাদ মাদানি রহ. এর অন্যতমও তারকাশিষ্য৷ ইতিহাসের এক স্বর্ণপ্রসবিনী সন্তান৷ দারুল উলুম দেওবন্দের দীর্ঘ পয়ত্রিশ বছরের বুখারি শরিফের অধ্যাপক৷ ওলামায়ে কেরামের দিকপাল, কুতুবুল আলম, মুস্তাজাবুদ দা'ওয়াহ, যুগের অন্যতমও মুহাদ্দিস, মুফাক্কিহ ও মুবাল্লিগ, ইলমে নববির যোগ্য ওয়ারিস৷

এলমে দ্বীনের প্রতি হজরতের গভীর ভালোবাসা এখনো নাড়া দেয় অন্তরে! কঠিন অসুস্থতায়ও যিনি দমে যাননি হাদিসের দরস থেকে৷ তাইতো শেষকয়েকবছর চলনক্ষমতা রহিত হওয়া সত্তেও হুইল চেয়ারে উপস্থিত হতেন দরসে আর স্বভাবজাত বিরল তাকরিরে ও স্পষ্ট কথনে মুগ্ধ করতেন তৃষ্ণার্ত হৃদয়কে৷ ইলমে ওহির শারাবান তহুরা পান করিয়ে ধন্য করতেন হাজারো পুস্পকলিকে৷

তার 'আয় আল্লাহ' ডাকের সেই মধুর ধ্বনী এখনো বাজে কর্ণকুহরে৷ যেন মুহাব্বতের উত্তল তরঙ্গে দোল খাচ্ছে বিলিন হয়ে৷ এইতো সেদিনকার কথাইতো এসব৷

শশমাহি পরীক্ষার পাঁচদিন পূর্বে কিতাবুল মাগাযি শেষ করে দোয়ার মাধ্যমে যিনি বিদায় নিয়েছিলেন আমাদের থেকে৷ কে— বুঝেছিলো তখন, এইযে হুজুরের শেষ দরস! আমাদের শেষ দেখা!!

পরীক্ষা আরম্ভ হয়েছিলো ১৭ ডিসেম্বর রবিবার৷ শেষ ২৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার৷ ক্লাস শুরু ৩১ ডিসেম্বর শনিবার৷ কিন্তু...৷

৩০ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যে সাটটা চল্লিশের দিকে একটা মেসেজ পেলাম আমাদের দাওরায়ে হাদিসের ওয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে৷ 'শায়খে ছানি রহ. আর নেই৷' (আল্লামা আবদুল হক আজমী) প্রথম আমি ভ্রুক্ষেপও করলাম না সেদিকে৷ কিন্ত মিনিট কয়েক পরই গর্জে উঠলো মসজিদে কাদিমের মাইক৷

শুনতে হলো সে কথাই, যা শোনার জন্য কখনো প্রস্তত ছিলাম না আমি, প্রস্তত ছিলো না কেউই৷ শুনতে হলো সেটাই৷ ঘোষণা হয়ে গেলো প্রিয় ওস্তাদ আল্লামা আবদুল হক আজমি রহ. এর মৃত্যুর খবর৷ যেন হতবিহ্বল বনে গেলাম মুহূর্তেই৷ হলাম বাকরুদ্ধ৷ চোখ থেকে বইতে লাগলো শ্রাবণাশ্রু, হৃদয় ফুঁড়ে বেরোতে লাগলো রাঙাখুন আর শোক সাগরে ভাসতে লাগলো দেওবন্দের ধূলিকণা৷ জগৎটাও অনুধাবন করলো তার শূন্যতা৷

এইতো, ক'দিন আগের ঘটনাইতো৷ যার ক্ষতগুলো এখনও তাঁজা৷ অথচ এর ভেতর পেরিয়ে গেলো একটা বছর! চাপা পড়ে গেলো কত কথা, কত স্মৃতি৷ তবুও মনে পড়ে..৷

লেখক: দারুল উলুম দেওবন্দের ফারেগ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ