তাওহীদ মাদানি: সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত কতৃক কাতারকে বয়কট করার দরুন কাতারের অর্থনৈতিক উন্নতি এত পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে যা কাতার কখনো স্বপ্নেও ভাবেনি৷
সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত কাতারকে বয়কট করে সম্ভবত কোনো শিক্ষা দিতে চেয়েছিল৷ কিন্তু শিক্ষা যে হীতে বিপরিত হবে তা ভাবেনি কেউ৷ কাতারকে বয়কটের দরুন যে কাতারের অর্থনৈতীক উন্নতির ক্রমবর্ধামান ধারা এত দ্রুত শুরু হবে তা ধারণা ছিল না কারোই৷
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স রিপোর্টের ভাষ্য অনুযায়ী কাতারের অর্থনৈতিক এই বিস্ময়কর পরিবর্তনের মূল কারণ হলো সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর কতৃক কাতারকে বয়কট করা৷
কেননা কাতারকে বয়কট করার পর কাতারের যে সকল রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি বা ব্যাক্তি মালিকানাধীন কোম্পানী রয়েছে তাদের বিনিয়োগ প্রসারিত হয়ে বিপুল পরিমাণে দেশী বিদেশে বিনিয়োগ শুরু হয়েছে এবং বৃহৎ সংখ্যক উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ কাতার আর্থিক কেন্দ্রে পৌঁছেছে।
যার ফলে কাতারের বিনিয়োগ এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমের ফলে কাতারের অর্থনৈতিক অবস্থা অপ্রত্যাশিত পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। কাতারের কোম্পানিগুলোর আরব আমিরাতের সাথে বিনিয়োগের অনিশ্চিয়তার ফলস্বরূপ বিদেশী বিনিয়োগ বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে৷
একইভাবে, কাতারের ব্যবসায়িক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও বেশিরভাগ বিদেশী কোম্পানি সরাসরি অংশ গ্রহণ করেছে।সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কোম্পানি কাতারে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছে।
কাতার ব্যবসার বিশ্বব্যাপী কোম্পানি, কাতারের অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় তাদের সম্পদের আরও নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে তাদের বিনিয়োগকে নিজেদের স্বদেশে পরিণত করছে।
কাতারের বিনিয়োগকারীদের এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের অস্বাভাবিক প্রবাহের অনুমান করা যেতে পারে যে কাতার আর্থিক কেন্দ্র নিবন্ধিত কোম্পানিগুলির সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডেইলি পাকিস্তা্ন
এইচজে