আওয়ার ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্প কর্তৃক জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণার পর থেকেই ফিলিস্তিনের শহর জুড়ে।
জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিপুল ব্যবধানে প্রস্তাব পাশের পরেও ফিলিস্তিনে বিক্ষোভ জারি রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার ফিলিস্তিনের গাজাভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর আহ্বানে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি রাস্তায় নেমে আসে। তারা ইসরায়েলের কাটাতারের বেড়ার কাছে গিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে।
ফিলিস্তিনিদের কেউ কেউ ইসরায়েলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারে। বিক্ষোভকারীদের দমনে ইসরায়েলি বাহিনী কাদানে গ্যাস ও রাবার বুলেটের পাশাপাশি গুলিও চালালে দুই যুবক মৃত্যু বরণ করেন।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি ও রাবার বুলেটের আঘাতে ৪০ জনের বেশি আহ্ত হয়েছে। এছাড়া মাত্রাতিরিক্ত কাদানে গ্যাসের কারণে বেশ কয়েকজন যুবক সাময়িক শ্বাসকষ্টের কারণে চিকিৎসা নিয়েছে।
শুক্রবারের এই মৃত্যুতে ৬ ডিসেম্বরের পর থেকে মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে হল ১২। এর মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে মারা গেছে ১০ জন। আর গাজা উপত্যকায় বিমান হামলায় মারা গেছে ২ জন। আর আহত হয়েছে সাড়ে তিন হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
এখন পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। আর পশ্চিম তীর ও গাজায় তাদের হামলায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে ‘অত্যাধিক বল’ প্রয়োগ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। সংস্থাটি বলেছে, ‘গাজা ও পশ্চিম তীরে বিক্ষোভ চলাকালে মারণাস্ত্রের ব্যবহার সত্যি দুঃখজনক।’
শুক্রবার দিন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস তার বড়দিনের বার্তায় ট্রাম্পের পদক্ষেপকে বিশ্বের লাখ লাখ বাসিন্দার পাশাপাশি বেথেলহেম শহরের জন্যও ‘অপমান’ বলে উল্লেখ করেছেন।
এসএস/