আবরার আবদুল্লাহ
বিশেষ প্রতিবেদক
করিম। এখন বয়স দুই একটি শিশু। সিরিয়ান বাহিনীর আর্টিলারি সেলের আঘাতে তার বাম চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মাথার খুলি। যুদ্ধাহত এ শিশুই এখন হয়ে উঠেছে সহিংসতা বিরোধী আন্দোলনের প্রতীক।
গত অক্টোবর মাসে কয়েক মাসের শিশু করিমকে দামেস্কের পার্শ্ববর্তী একটি মার্কেটে আহত অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে। সরকারি বাহিনীর আঘাতে তার মা মারা যায় এবং মারাত্মকভাবে আহত হয় সে। এ আঘাতে একজন গর্ভবতী নারী ও তার গর্ভের শিশু মারা যায়।
আহত করিমকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ফিরিয়ে দেন। একজন স্বেচ্ছাসেবী আবু লুই তাকে অন্য হাসপাতালে ভর্তি করতে রওনা হয়। কিন্তু তখনি আরেকটি সেল আঘাত হানে এবং অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। তারপরও আবু লুই করিমকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আবু লুই তার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে। এতে ব্যাপক সাড়া পড়ে তাকে। মানুষ তার এক চোখ বন্ধ করে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানায়।
সমাজকর্মীরা তার ছবিটি যুদ্ধ বিরোধী প্রচারণার কাজে ব্যবহার করছে।
https://twitter.com/AlabedBana/status/943216732306575360
ইতিমধ্যে ছবিটি আন্তর্জাতিক অঙ্গণে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আমেরিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা সিরিয়ার পাঁচশত শিশুকে আমেরিকায় স্থানান্তর করতে উদ্যোগ নিয়েছে।
তবে তারা জানিয়েছে ১৩৭ শিশু যাদের বয়স দুই মাসের কম সিরিয়ার চিকিৎসার অভাবে মারা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে শুরু হওয়া সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে এ পর্যন্ত কয়েক লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়ছে এবং বাস্তুচ্যূত হয়েছে কয়েক কোটি মানুষ।