আওয়ার ইসলাম : সাবেক ভারতীয় উইং কমান্ডার লিখিত ডিজে ক্লের ১২ দিনে ঢাকা বিজয় বইয়ের উন্মোচন করা হয়। বইয়ের পরিচিতিতেও মহান মুক্তিযুদ্ধকে ভারত-পাক যুদ্ধ হিসেবেই লেখা হয়। এ ব্যাপারে অনুষ্ঠানে উপস্থিত বইয়ের লেখকের কাছে জানতে চাইলে আর্মড ফোর্সেস ভেটেরান উইং কমান্ডার ডিজে ক্লে ভিএম বলেন, এতে আপত্তির কিছু নেই।
শুক্রবার সকালে জাতীয় জাদুঘরে এক অনুষ্ঠানে সাবেক এক ভারতীয় উইং কমান্ডার মুক্তিযুদ্ধকে পাক-ভারত যুদ্ধ হিসেবে উপস্থাপন করলে তিনি এ মন্তব্য করেন। দুই দেশের দূতাবাসের আয়োজনে এমন মন্তব্যে হতাশা প্রকাশ করে বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় বাহিনীর অবদান অনস্বীকার্য। তবে ১৯৭১ সালে বাঙালির মহান মুক্তিসংগ্রাম অবশ্যই ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ নয়।
৪৭তম বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ভারত এবং বাংলাদেশের দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে এই আয়োজন। এখানে হাজির হন মহান মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করা মিত্র বাহিনীর ভারতীয় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭১ এর যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করতে ভারতীয় বাহিনীর যুদ্ধকৌশল উপস্থাপন করা হয়। এ সময় বাঙালির মহান মুক্তিসংগ্রামের এই অর্জনকে পাক-ভারত যুদ্ধ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। এতে আপত্তি জানান অনুষ্ঠানে উপস্থিত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্বব্যাপী জনমত গঠনে ভারতের অবদান অনস্বীকার্য। তবে আজ মুক্তিযুদ্ধকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে আমি একটু কষ্ট পেয়েছি। কারণ প্রেজেন্টেশন দেখে মনে হয়েছে এটা ছিল পাক-ভারত যুদ্ধ। আমি বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই এ যুদ্ধ পূর্ব পাকিস্তান কিংবা পাকিস্তানের সঙ্গে হয়নি। আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের বাহিনী যৌথভাবে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে।
দুই দূতাবাসের যৌথ এই আয়োজনে হতাশা প্রকাশ করেছেন অংশগ্রহণকারীরা। এ বক্তব্য প্রত্যাহারেরও দাবি জানান তারা।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ১৯৭১ সালে পাক-ভারত যুদ্ধ হয়েছে এটা বললে আমরা মেনে নিব না। ৩০ লাখ বাঙালি রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। আমরা তাদের এ বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
আলোচনা সভার বাইরে মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় বাহিনীর স্মৃতি বিজড়িত আলোকচিত্রের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। আরএম