শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, সতর্ক থাকতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা ‘কোনো রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেয়ার ইচ্ছা জামায়াতের নেই’ শরীরে রক্ত বাড়াতে যেভাবে পালং শাক খাবেন

পবিত্র কাবা শরিফ সম্পর্কে ১০ টি অজানা তথ্য

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: পবিত্র কাবা শরিফ সম্পর্কে এই ১০টি অজানা তথ্য প্রতিটি মুসলমানের জানা থাকা ভালো।

পবিত্র কাবা। আল্লাহর ঘর। প্রতিটি মুসলিমের হৃদয়রাজ্যে বাস করে বাইতুল্লাহ জিয়ারতের স্বপ্ন। কাবার পরিচিতি বিশ্বজোড়া। কিন্তু এই কাবাঘর সম্পর্কিত এমন কিছু তথ্য রয়েছে যা অনেকই জানেন না। কাবা শরিফ সম্পর্কে অজানা ১০টি তথ্য।

১. কাবা ঘর কয়েকবার নির্মিত হয়েছে: নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও যুদ্ধাবস্থার কারণে কাবা ঘর কয়েকবার নির্মাণ করা হয়েছে। অধিকাংশ ঐতিহাসিকের মতে কাবা শরিফ মোট ১২ বার নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমান ডিজাইনের নির্মাতা মুসলিম শাসক হাজ্জাজ বিন ইউসুফ। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ নিজে এই ডিজাইনটি করেননি।

বরং তিনিও ইসলাম পূর্ববর্তী কুরাইশদের ডিজাইন অনুসরণ করেছেন। পরবর্তী সময়ে বেশ কয়েকবার কাবা শরিফের সংস্কারের কাজ করা হলেও মূল ডিজাইনে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। সর্বশেষ কাবা শরিফের সংস্কার কাজ করা হয় ১৯৯৬ সালে। তখন বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাবা শরিফের দেয়াল ও প্রাঙ্গনকে দৃঢ় ও মজবুত করা হয়।

২. কাবার গিলাফের রং পরিবর্তন: কাবা শরীফকে গিলাফে আবৃত করার প্রচলন শুরু হয় প্রাচীন জুরহুম গোত্রের মাধ্যমে। পরবর্তী সময়ে এ ধারা চলমান থাকে। মহানবি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাবা ঘরকে একটি সাদা ইয়েমেনি চাদরে আবৃত করেন।

পরবর্তী খলিফারা কাবা ঘরের গিলাফের ক্ষেত্রে সাদা, লাল এবং সবুজ রং ব্যবহার করেছেন। আব্বাসি খলিফারা কালো গিলাফের প্রচলন করেন। এখনো তা সেই কালো রংয়েই বহাল আছে।

৩. ডিজাইন পরিবর্তন: পবিত্র কাবা ঘর বর্তমানে ঘনকাকৃতির অবয়বে আছে। পূর্বে হজরত ইব্রাহিম (আ.) এটিকে এই আকৃতিতে তৈরি করেননি। ইসলাম পূর্বযুগে কুরাইশরা কাবা পুনঃনির্মাণ করে। তখন অর্থ সংকটের কারণে কাবার কিছু অংশ নির্মাণের বাইরে থাকে।

এটি মূলত কাবার আভ্যন্তরীণ অংশ। বর্তমানে এটিকে একটি ছোট দেয়াল দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। একে হাতিম হিসেবে অভিহিত করা হয়।

৪. কাবার দরজা মূলত কয়টি? কাবার মূল দরজা ছিল দুটি এবং একটি জানালাও ছিল। বর্তমানে দরজা আছে একটি। জানালা নেই। তবে কাবার অভ্যন্তরে আরেকটি দরজা আছে। যা ছাদে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।

৫. কাবা ঘরের অভ্যন্তর: কাবা ঘরের অভ্যন্তরে কী আছে? এ নিয়ে সবার মনেই প্রশ্ন জাগে। কাবার অভ্যন্তরে তিনটি পিলার মূল ছাদটিকে ধরে রেখেছে। দুই পিলারের মাঝে একটি টেবিলে সুগন্ধি রাখা আছে। দেয়ালের উপরাংশকে একটি সবুজ কাপড়াবৃত করে রেখেছে। কাপড়টিতে কোরআনের বিভিন্ন আয়াত ক্যালিগ্রাফি খচিত।

৬. হাজরে আসওয়াদ ভেঙ্গেছিল: হাজরে আসওয়াদ মূলত একটি বড় পাথর ছিল। তবে বর্তমানে এটি মোট আটটি পাথরখন্ডের সমষ্টি। নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে পাথরটি ভেঙ্গে গেছে। সর্বপ্রথম এর উপর রৌপ্যের ফ্রেম বাঁধাই করেন আব্দুল্লাহ বিন জুবাইর।

৭. কাবার রক্ষক পরিবার কারা? অবাক করা ব্যাপার হলো- ইসলাম পূর্বযুগ হতে এখন পর্যন্ত একটি গোত্রই কাবার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করছে। গোত্রটির নাম বনু শাইবাহ। বিগত প্রায় ১৫ শতাব্দী ধরে এই গোত্রের হাতেই আছে কাবা ঘরের চাবি।

৮. কাবা ঘর পরিষ্কার কার্যক্রম: কাবা ঘরের রক্ষকগোত্র বনু শাইবাহর তত্ত্বাবধানে বছরে দুইবার কাবা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। জমজম কুয়ার পানি, গোলাপজল এবং আরবের বিখ্যাত সুগন্ধি উদের তেলের সমন্বয়ে একটি বিশেষ ক্লিনিং লিকুইড তৈরি করা হয় এবং তা দিয়েই কাবা ঘর পরিষ্কার করা হয়।

৯. উন্মুক্ত দরজা: কাবার দরজা একসময় সবার জন্যই উন্মুক্ত ছিল। পরবর্তীতে লোক সমাগম বেড়ে যাওয়ার কারণে কাবার দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়। বর্তমানেও এটি বিশেষ সময়ে খোলা হয়ে থাকে।

১০. বিরতিহীন তাওয়াফ: কাবার আরেকটি অবিশ্বাস্য দিক হলো- সবসময়ই এর চারপাশে তাওয়াফ চলতে থাকে। শুধু নামাজের জামাত যে সময়টুকুতে হয়, তা ছাড়া বাকি পুরো সময় ধরে কাবার চারধারে চলতে থাকে অবিরাম তাওয়াফ।

এইচজে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ