আওয়ার ইসলাম: ট্রাম্পের একটি ঘোষণায় ফুঁসে উঠেছে বিশ্ব। আর এ থেকে বাদ পড়েনি তার নিজের প্রশাসনও। জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করা মাত্র শুরু হয় এ বিভক্তি। আর এ কারণে ফিলিস্তিনে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে।
হোয়াইট হাউস ও ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মতভেদ শুরু হয়েছে। একাংশ চাচ্ছিল ট্রাম্প এই ঘোষণা না দিক। অন্যরা এই ঘোষণার জন্য ট্রাম্পকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে।
প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস, গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএয়ের পরিচালক মাইক পম্পে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী করার বিপক্ষে ছিলেন।
তারা চাচ্ছিলেন, বিদ্যমান অবস্থা বজায় থাকুক। বহু দশক ধরে চলে আসা মার্কিন নীতি অব্যাহত থাকুক। ব্যক্তিগতভাবে তারা ট্রাম্পকে এই অনুরোধও করেছিলেন। কিন্তু তা শুনতে চাননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় ট্রাম্প যখন জেরুজালেম-সংক্রান্ত ঘোষণা দিচ্ছিলেন তখন তার পাশে ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের পেছনে অন্যতম উদ্যোক্তা তাকে মনে করা হচ্ছে।
গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় ট্রাম্পের অন্যতম পরামর্শদাতা ছিলেন ডেভিড ফ্রিডম্যান। তিনি ইহুদি-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ফ্রিডম্যানকে ইসরাইলে মার্কিন দূত করেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসন তখন উপস্থিত ছিলেন না। রেক্স টিলারসনের অনুপস্থিতির বিষয়টি সামনে আসতে এই বিতর্ক আরো জোরালো হয়েছে।
এসএস/