আওয়ার ইসলাম: সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মেদ বিন সালমানকে ইসরায়েল সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির ইন্টিলিজেন্স মিনিস্টার ইসরায়েল কাৎজ।
এ সফর দুই দেশের মধ্যে কূটনীতিক সম্পর্ক জোরদারে ঐতিহাসিক সফর হবে বলে কাৎজের মুখপাত্র বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এই আমন্ত্রণ এমন সময় জানানো হলো যখন জেরুজালেম ইস্যুতে গোটা বিশ্বে প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় বইছে। আর জেরুজালেমকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী স্বীকৃতির পর মধ্যপ্রাচ্যে বিদ্যমান উত্তেজনার মধ্যে এ ঘোষণা অঞ্চলটিতে আরও অশান্তি বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
দেশটির গোয়েন্দামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ সৌদি দৈনিক ‘ইলাফ’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি সৌদি যুবরাজকে তেল আবিব সফরের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
একইসঙ্গে মোহাম্মাদ বিন সালমানকে ইহুদিবাদীদের সঙ্গে মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের আপস প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করারও আহ্বান জানিয়েছেন ইসরাইলের গোয়েন্দামন্ত্রী। এর আগেও একবার ইসরায়েলের এক মন্ত্রী দেশটি সফরের ক্রাউন প্রিন্সকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
এদিকে ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বুধবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ওআইসির জরুরি শীর্ষ সম্মেলনে দেয়া ভাষণে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
ওই সম্মেলন থেকে পূর্ব জেরুজালেমকে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী ঘোষণা করা হয়েছে। সম্মেলনে সৌদি বাদশাহ সালমান বা তার পুত্র মোহাম্মাদ বিন সালমান অংশগ্রহণ করেননি।
মাহমুদ আব্বাস তার ভাষণে আরো বলেন, ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কথিত শান্তি প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতা করার যোগ্যতা হারিয়েছে আমেরিকা।
উল্লেখ্য, মুসলিম, খ্রিস্টান, ইহুদি এই তিন ধর্মের মানুষের কাছেই পবিত্র স্থান জেরুজালেম নিয়ে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব চলছে যুগের পর যুগ। ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় ইসরায়েল।
সূত্র: ডেইলি সাবাহ