জুবায়ের রশীদ
লেখক ও শিক্ষার্থী
ফাউজি আল জুনাঈদি হয়তো আর কোনোদিন ফিরে আসবে না। কিন্তু আল কুদস ফিরে আসবে। আপন মহিমায় দাঁড়িয়ে থাকবে পবিত্র শহর জেরুসালেম।
সোনালি গম্বুজে উড়তে থাকবে ফিলিস্তিনের পতাকা। মিনার থেকে ছড়িয়ে পড়বে শহরের গলিতে, মোড়ে আযানের ধ্বনি। ফাউজি আল জুনাঈদির চিৎকার।
গায়ে সাদা কালো পলো শার্ট, নীল জিন্স আর পায়ে সাদা কেডস। চোখ বাঁধা, হাত দুটো পেছনে নিয়ে ঝাপটে ধরে রেখেছে এক ইসরাইলি সেনা। চারদিকে ঘিরে আছে রণসাজে আরো ২২ জন। এক কিশোর শাবক শার্দুলকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে ২৩ জন কাপুরুষ। ফুটে উঠেছে আরবীয় তেজোদীপ্ততার অনুপম প্রতিচ্ছবি।
১৬ বছরের কিশোর ফাউজি আল জুনাঈদি হয়ে উঠেছেন নতুন ইন্তিফাদার প্রেরণা। কবিতা হয়ে উচ্চারিত হচ্ছে প্রতিটি ফিলিস্তিনির হৃদয়ে যারা শত বছর ধরে মুক্তির অন্বেষণায় জেগে আছে।
বিন সালমানদের প্রলম্বিত সাদা জুব্বা আর ঝুলানো লাল রুমালে আগুন লাগিয়ে দিক এই ছবি। আরব কাপুরুষ শাসকদের মুখে থুথু ছিটিয়ে দিক এই ছবি। খাদিমুল হারামাইনের খাদেম নামধারী ভীতুদের গালে থাপ্পড় দিক এই ছবি।
নচেৎ কাবার শহর থেকেও একদিন জাগবে আরো হাজার হাজার ফাউজি আল জুনাঈদি। তখন পুরনো যাযাবর বিন সউদের এই বিন সালমানরা পালিয়ে যাবে পুরনো মরুতে যেখানে ওরা হাজিদের থেকে ডাকাতি করে জীবিকার ব্যবস্থা করত!
হাজার বছরের রক্তভাষা জনপদ থেকে ফাউজি আল জুনাঈদিদের কেউ হটাতে পারবে না। ক্রুসেডের ভূমি থেকে সালাদিনের সন্তানরা পিছু হটবে না কখনো। এই কুদস আমাদের। এই জেরুসালেম আমাদের।
যে ভূমি থেকে পিয়ারা নবী উর্ধ্বগমনে গিয়েছেন, গিয়েছেন বেহেশত দর্শনে। সেখান থেকেই কী বেহেশত অতি সন্নিকটে নয়? জানি না, হয়তো বা তাই। এ ভূমি থেকেই হয়তো খুব দ্রুত ফাউজি আল জুনাঈদি পাখি হয়ে বেহেশতে উড়ে যাবে। ঠিক যে দ্রুততায় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গিয়েছিলেন।
সালাম গ্রহণ করো আমাদের হে সাহসী কিশোর ফাউজি আল জুনাঈদি! আমাদের হৃদয়ের কুরসিতে সাহসের প্রতীক হয়ে বসে আছ তুমি।
তোমার বুকে যে অনিঃশেষ আগুন জ্বলছে সে আগুনের লেলিহান উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে দেশ থেকে দেশান্তরে। শহর থেকে জনপদে। বিক্ষোভ থেকে সমাবেশে। বিপ্লবের সালাম নিও হে সাহসী কিশোর।
এইচজে