আওয়ার ইসলাম: গুলি করে হত্যার তিন দিন পর বাংলাদেশির লাশ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। নিহত ওই বাংলাদেশির নাম নাশরাফ হোসেন ওরফে আবু।
তিনি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত লাগোয়া চরআষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের চরভুবনপাড়া গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিএসএফের ৪ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ডিএমসি সীমান্ত ফাঁড়ির সদস্যদের কাছে নাশরাফের লাশ হস্তান্তর করে। ডিএমসি সীমান্ত ফাঁড়ির কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার ফরিদ আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফরিদ আহমেদ বলেন, লাশ পাওয়ার পর রাতেই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সকালে লাশ দাফন করা হয়। ভারতে লাশের ময়নাতদন্ত এবং আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করতে দেরি হওয়ায় লাশ ফেরত পেতেও দেরি হয়েছে বলে তিনি জানান।
গত শনিবার দিবাগত রাতে সীমান্তে গরু আনতে যান নাশরাফ ও তাঁর চাচাতো ভাই এসারুল ইসলাম ওরফে মিঠুসহ আরও কয়েকজন রাখাল।
এ সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বরমতপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে কাটাতারের বেড়ার কাছেই মারা যান নাশরাফ। তবে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এসারুল বাংলাদেশের ভেতরে পালিয়ে আসেন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
এরপর নিহত এসারুলের লাশ তাঁর সহযোগীরা বাড়িতে নিয়ে যান। তবে নাশরাফের লাশ নিয়ে যায় বিএসএফ। এ নিয়ে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের পরে গত রাতে লাশটি ফেরত দেওয়া হয়।