আওয়ার ইসলাম: প্রত্যাশামতোই কংগ্রেসের নতুন সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেন রাহুল গাঁধী। সর্বসম্মতিক্রমেই কংগ্রেসের সভাপতি হলেন তিনি। ফলে ১৯ বছর পর গুজরাত নির্বাচনের মধ্যেই নতুন সভাপতি পেল দল।
সোমবার ছিল কংগ্রেসের সভাপতি পদের নির্বাচনে নাম প্রত্যাহারের শেষ দিন। একমাত্র রাহুল গাঁধীই সভাপতি পদে মনোনয়ন পেশ করেছিলেন। সে জন্যই এ দিন কংগ্রেসের নির্বাচনী কমিটি আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দিল রাহুল গাঁধীর জয়ের কথা।
১৯ বছর ধরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সনিয়াই দলের সভাপতি হিসেবে কাজ চালাচ্ছিলেন। কিন্তু, গুজরাত ভোটের আগে রাহুলের রাজনৈতিক ওজন আরও বাড়াতে চেয়েছিল কংগ্রেস। দলের সভাপতি পদে রাহুলের অভিষেকের পথ চওড়া করতে গত মাসেই ওয়ার্কিং কমিটির বিশেষ বৈঠক ডেকেছিলেন সনিয়া গাঁধী।
সভাপতি পদের নির্বাচনের জন্য গত ১ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৪ ডিসেম্বর। কিন্তু, রাহুল ছাড়া আর কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেননি। প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল আজ। পূর্ব ঘোষণা ছিল, প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে সোমবার বিকেল ৪টের সময়।
কিন্তু, আর কেউ প্রার্থী না হওয়ায় এ দিন সভাপতি হিসেবে রাহুলের নাম ঘোষণা করল এআইসিসি। কংগ্রেস সূত্রে খবর, আগামী ১৬ তারিখ সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার নেবেন তিনি।
সনিয়া গাঁধী কংগ্রেসের সদস্য হওয়ার পরের বছর, অর্থাৎ ১৯৯৮-এর এপ্রিলে সীতারাম কেশরীকে সরিয়ে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি তাঁকে সভাপতি মনোনীত করে। তার পর থেকে তিনিই দলের সভাপতি। মাঝে ২০০০ সালে সভাপতি পদের জন্য কংগ্রেসে এক বারই নির্বাচন হয়।
সে বার সনিয়া গাঁধীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন জীতেন্দ্রপ্রসাদ। কিন্তু, জীতেন্দ্রপ্রসাদকে হারিয়ে ফের সভাপতি পদে নির্বাচিত হন সনিয়া। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি পদেই ছিলেন সনিয়া। এ বার সেই জায়গায় এলেন রাহুল গাঁধী।
২০১৩ সালে দলের দু’নম্বর হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন রাহুল। এ বার পদোন্নতি হল ৪৭ বছরের রাহুলের। ঘটনাচক্রে দলের সেই ব্যাটনটা তিনি মায়ের হাত থেকেই নিলেন।
সূত্র: আানন্দবাজার পত্রিকা