জুনায়েদ শোয়েব
শান্তিনগর থেকে
মার্কিন পণ্য বর্জনের ডাকের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি। ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম এ আহবান জানিয়েছেন।
পূর্ব ঘোষিত মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির সমাপণী বক্তব্যে তিনি বিশ্বব্যাপী মার্কিন পণ্য বর্জনের আহবান জানান।
এ সময় তিনি জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করার প্রতিবাদে আগামী ১৫ ডিসেম্বর দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মানুষ এতো পাগল বলতো। সে পাগল নয় মিচকে শয়তান। শয়তানের রাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য সে উঠে পড়ে লেগেছে।
চরমোনাই পীর আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য তৈরির জন্যই ইহুদিরা ট্রাম্পকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। এখন সে ইহুদিদের এজেন্ট হয়ে কাজ করছে। ইহুদির দাবি পূরণের জন্য অন্যায়ভাবে সে জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করেছে।
তিনি আরও বলেন, জেরুসালেম মুসলমানের। তা কখনোই ইহুদিদের রাজধানী ছিলো না এবং ভবিষ্যতেও তা হতে দেয়া হবে না। সারা বিশ্বের মুসলমান তাদের জীবন দিয়ে ইসলামের প্রথম কেবলা বায়তুল মুকাদ্দাসসহ জেরুসালেমকে রক্ষা করবে।
তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশসহ মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে জেরুসালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী ঘোষণার আহবান জানান।
এর আগে আজ ১১টায় বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শেষে মার্কিন দূতাবাসের উদ্দেশে দলীয় প্রধানের নেতৃত্বে মিছিল বের করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
মিছিলটি শান্তিনগর মোড়ে পৌঁছালে পুলিশের বাধা পায়। এতে পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের সঙ্গে সামান্য ধস্তাধস্তিও হয় সে সময়।
দলের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দীন কর্মীদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন এবং পীর সাহেবব চরমোনাই সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেন।
আজকের মিছিল পূর্ব সমাবেশে অারও উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ মুসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী, অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ, মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, মাওলানা নেসার উদ্দীন, ইন্জিনিয়ার আশরাফুল আলম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণার সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়ে। গত শুক্রবার পল্টনে হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও খেলাফত মজলিসসহ বেশ কয়েকটি দল বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।
শুক্রবারের সেই কর্মসূচি থেকে ১১ ডিসেম্বর মার্কিন দূতাবাস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য সায়্যিদ মুসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী।
আজ সকাল ৯টার পর থেকেই ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন পল্টনের বায়তুল মোকাররমে।
বায়তুল মোকাররম থেকে আওয়ার ইসলামের প্রতিনিধি জুনায়েদ শোয়েব জানান, হাফেজ নাজমুল হাসান সাকিবের কুরান তেলাওয়াতের মাধ্যমে গনমিছিল পূর্ব সমাবেশ শুরু হয়। নেতাকর্মীরা জড়ো হওয়ার সুবিধার্থে এখানে বেশ কিছুক্ষণ সমাবেশ হবে। নেতারা বক্তব্য দেবেন। দুপুর ১২টার পর রওনা দেবেন মার্কিন দূতাবাস অভিমুখে।