নিহার মামদুহ
প্রতিবেদক
আজ উদ্বোধন করা হবে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক। গণভবনে বসে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী আধুনিক সুবিধাসম্বলিত এ পার্কটি উদ্বোধন করবেন।
যেভাবে তৈরি হলো
২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোরে একটি বিশ্বমানের আইটি পার্ক স্থাপনের ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল শহরের নাজির শংকরপুরে সাড়ে ৯ একর জায়গার ওপর ২৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এই পার্কের নির্মাণকাজ শুরু হয়।
২ লাখ ৩২ হাজার বর্গফুট জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠা হাইটেক পার্ক নির্মানে ব্যয় হয়েছে ৩০৫ কোটি টাকা।
যেসব সুবিধা রয়েছে এখানে
আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধাসহ রয়েছে এখানে। ১৫ তলাবিশিষ্ট এমটিবি ভবন, ১২ তলাবিশিষ্ট ফাইভ স্টার মানের ডরমেটরি ভবন, অত্যাধুনিক কনভেনশন সেন্টারের সঙ্গে আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং।
জাপানি উদ্যোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী ডরমেটরি ভবনের ১১ তলার পুরোটাতে আন্তর্জাতিক মানের জিম স্থাপন করা হয়েছে।
সব বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়েছে ভূমিকম্প প্রতিরোধক কম্পোজিট (স্টিল ও কংক্রিট) কাঠামোতে। ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে ১৪ হাজার বর্গফুটের জায়গা রয়েছে।
এছাড়াও এতে থাকছে ৩৩ কেভিএ পাওয়ার সাব-স্টেশন, ফাইবার অপটিক ইন্টারনেট লাইন এবং অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের সুবিধা।
কেনো নির্মাণ করা হলো
এ পার্কে মূলত সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ফ্রিল্যান্সিং/আউটসোর্সিং, কল সেন্টার, রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আর অ্যান্ড ডি)- এ কাজগুলো হবে। আর এসব ক্ষেত্রে ১০ হাজার আইটি প্রফেশনালের কর্মসৃজন হবে।
বরাদ্দ পাবে যারা
খুলনা বিভাগের ১০ জেলাকে টার্গেট করেই যশোরে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক করা হয়েছে। দেশ-বিদেশের আইটি শিল্প উদ্যোক্তারা এখানে বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন। ইতিমধ্যে
পার্কে দেশি-বিদেশি প্রায় ৪০টি আইটি কোম্পানিকে জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকটি কোম্পানি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। জায়গা বরাদ্দের জন্য আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে আরও ১৫টি কোম্পানিকে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
পার্কে জায়গা বরাদ্দ পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে অগ্নি সিস্টেমস, সাজ টেলিকম, স্পেকট্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স কনসোর্টিয়াম লিমিটেড, দোহাটেক নিউ মিডিয়া, কাজী আইটি সেন্টার, ইনফোটেক, ই-জেনারেশন লিমিটেড, বাক্য, ডিজিকন টেকনোলজিস, এম্বার আইটি লিমিটেড উল্লেখযোগ্য।