সাজিদ নূর সুমন
ফিচার রাইটার
শুধু কথা বলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় স্মার্টফোন। তাই স্মার্টফোন দিয়ে কথা বলা ছাড়াও সবসময়ই কিছু না-কিছু করা হয়ে থাকে। যেমন চ্যাট, ভিডিও কলিং কিংবা মেইল চেক প্রভৃতি।স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা আধুনিক প্রযুক্তির সব সুবিধা ভোগ করলেও একটা দুর্ভোগ রয়েছে। সেটা হলো দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার সমস্যা।।
ব্যাটারির চার্জ সাশ্রয়ের জন্য স্মার্টফোন ব্যবহারের কিছু নিয়ম আছে, যেগুলো মেনে চললে কিছুটা সাশ্রয় করতে পারবেন ব্যাটারির চার্জ। জেনে নিন, এমন ১০টি টিপস, যা অভ্যাসের মাধ্যমে ব্যাটারির চার্জ বেশি সময় ধরে রাখা যায়।
১. ডিসপ্লের ঔজ্জ্বল্য কমিয়ে ফেলুন
স্মার্টফোনের পর্দার ব্রাইটনেস বা ঔজ্জ্বল্য কমিয়ে রাখা ভালো। ফোনের সেটিংস থেকে এটি পরিবর্তন করা যায়, আবার কোনো কোনো মোবাইলে ব্রাইটনেস পরিবর্তনের জন্য শর্টকাট কি-ও থাকে। কিছুদিন ব্যবহার করলেই কম আলোর পর্দার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া যায়। পাশাপাশি কিছুক্ষণ ব্যবহার না করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পর্দার আলো বন্ধ রাখার সুবিধাটিও চালু রাখা উচিত।
২. কালো ওয়ালপেপার ব্যবহার করুন
অ্যামোলেড স্ক্রিনের ফোনে কালো বা এ ধরনের রঙের ওয়ালপেপার ব্যবহার করলে চার্জ কম খরচ হয়। কারণ, অ্যামোলেড স্ক্রিনের আলো খরচ হয় বিভিন্ন রঙের পেছনে। তাই যত রঙিন ওয়ালপেপার দেওয়া হবে, আলোর খরচ বাড়বে, সে সঙ্গে চার্জও খরচ হবে।
৩. লো-পাওয়ার মোড
আপনার ফোনে যদি অ্যানড্রয়েড ৫ দশমিক শূন্য বা এর পরের ভার্সনের অপারেটিং সিস্টেম থাকে, তাহলে আপনার কপাল ভালো। কারণ, ফোনের চার্জ ১৫ শতাংশের কম হলেই এসব অপারেটিং সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে লো-পাওয়ার মোড চালু হয়ে যায়। অ্যানড্রয়েড অপারেটিংয়ের মার্শম্যালো ভার্সনে রয়েছে ‘ডোজ’ নামে একটি নতুন ফিচার। স্মার্টফোনের চার্জ কমে গেলে এই ফিচার ফোনটিকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হাইবারনেশন মোডে নিয়ে যায় আর অনেকক্ষণ ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় থাকা অ্যাপগুলো বন্ধ করে দেয়।
৪. ফোনটি কক্ষতাপমাত্রায় রাখা সর্বোত্তম
বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ফোন সব সময়ই কক্ষতাপমাত্রায় ব্যবহার করা উচিত। মোবাইল ফোন কখনোই অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম স্থানে ফেলে রাখা উচিত নয়। সুবিধাজনক তাপমাত্রায় না থাকলে মোবাইল ফোনের চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যায়, এমনকি ফোনটি স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সাধারণত সব মোবাইল ফোনের জন্য সুবিধাজনক তাপমাত্রা হলো ০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৫. লক স্ক্রিন নোটিফিকেশন চালু করুন
স্মার্টফোনের চার্জ বাঁচানোর আরেকটি ভালো বুদ্ধি হচ্ছে লক স্ক্রিন নোটিফিকেশন চালু করে রাখা। এতে বারবার আপনাকে লক খুলে নোটিফিকিশেন দেখতে হবে না। ফলে চার্জ কম খরচ হবে।
৬. ব্যবহার না করলে লক করে রাখা
ব্যবহার করা না হলে ফোনটি লক করে রাখা উচিত। লক থাকা অবস্থাতেও কল এবং এসএমএস আসবে। ফোন লক করা না থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিছু সেবা চলে এবং স্বাভাবিকবাবেই এতে ব্যাটারি খরচ হয়। আর লক করার আরও একটি সুবিধা হলো, ভুলবশত পর্দার কোথাও আঙুলের চাপ পড়ে কল চলে যাবে না বা কোনো অ্যাপ খুলবে না।
৭. ব্যবহারের পর অ্যাপস বন্ধ করুন
ব্যবহার শেষ হলে অ্যাপটি বন্ধ রাখা উচিত। অনেক ক্ষেত্রেই অ্যাপটি মিনিমাইজ করে রাখা হলেও নেপথ্যে প্রসেসিং চলতে থাকে। ইন্টারনেটে যুক্ত থেকে ডেটা আদান-প্রদানও করতে থাকে বেশ কিছু অ্যাপ। অথচ এই সময়ে অ্যাপটি ব্যবহূত হচ্ছে না।
৮. অ্যাপস ডাউনলোড ও আপডেট
অ্যাপস ডাউনলোড ও আপডেটের ক্ষেত্রে ওয়াই-ফাই সংযোগ ব্যবহার করুন। মোবাইলের ডাটা ব্যবহার করলে চার্জ বেশি খরচ হবে, এ ছাড়া সময়ও যাবে বেশি। সে ক্ষেত্রে দ্রুতগতির ওয়াই-ফাই সংযোগ ব্যবহার করলে তাড়াতাড়ি অ্যাপসগুলো ডাউনলোড ও আপডেট হয়ে যাবে। মোবাইলের চার্জও কম খরচ হবে।
৯. আসল ব্যাটারি ব্যবহার করুন
স্মার্টফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেলে আসল ব্যাটারি ব্যবহারের চেষ্টা করুন। এতে আপনার ফোন ভালো থাকবে এবং চার্জও থাকবে অনেকক্ষণ।
আরএম/ সূত্র : ইন্টারনেট