আওয়ার ইসলাম : ‘গুম’ করার উদ্দেশ্যে তাকে ধরে নেওয়া হয়েছিল দাবি করে ফরহাদ মজহার বলেছেন, সেখান থেকে উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জোরাল ভূমিকা রেখেছে, তবে পরে চাপ দিয়ে তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, বিনোদনের জন্য বাসা থেকে বের হয়েছেন এটা বলতে তাকে চাপ দেওয়া হয়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।
৯ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তার স্ত্রী ফরিদা আক্তারও উপস্থিত ছিলেন।
ফরহাদ মজহার বলেন, 'সেদিন তাকে উদ্ধার করার ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অসামান্য ভূমিকা রেখেছে। পরে ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা তাদের সাফল্যকে ম্লান করে দিচ্ছে। '
‘গুম’ করার উদ্দেশ্যেই তাকে ধরে নেয়া হয়েছিল বলে দাবি করে তিনি বলেন, 'সেখান থেকে উদ্ধারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জোরাল ভূমিকা রেখেছে, তবে পরে চাপ দিয়ে ও মারধর করে আমার কাছ থেকে ‘মিথ্যা’ স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে।'
গত ৩ জুলাই ভোরে শ্যামলীর রিং রোডের ১নং হক গার্ডেনের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন ফরহাদ মজহার। পরে স্ত্রীকে নিজের মোবাইল ফোনে জানান, কে বা কারা তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তাকে মেরেও ফেলা হতে পারে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ছয়বার কল করে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিয়ে মোবাইল ট্র্যাকিং করে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয় এবং ১৯ ঘণ্টা পর যশোরের অভয়নগরে হানিফ পরিবহনের বাস থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ফরহাদ মজহারের নিখোঁজের ঘটনায় ওই দিন রাতেই স্ত্রী ফরিদা আক্তার বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ০৪। এর আগে তিনি জিডি করেছিলেন। আরএম