আওয়ার ইসলাম: বিক্ষোভ ঠেকাতে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ব্যাপক সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ ধরনের তথ্য জানানো হয়েছে।
পবিত্র ভূমি জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বীকৃতি এবং তেল আবিব থেকে দেশটির দূতাবাস সেখানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণার পর ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ ঠেকাতে এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নতুনভাবে আরও সেনা মোতায়েন করা হবে এবং কিছু সেনা অপেক্ষমান অবস্থায় রাখা হয়েছে। যে কোনো প্রয়োজনে তাদের ব্যবহার করা হতে পারে।
অন্যদিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নতুনভাবে ইন্তিফাদা বা অভ্যুত্থানের ঘোষণা দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ট্রাম্পের ঘোষণার পর এ ধরনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটির নেতা ইসমাইল হানিয়েহ।
ট্রাম্পের ঘোষণায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের পরম বন্ধু সৌদি আরবও ট্রাম্পের নিন্দা জানিয়েছেন। এছাড়া জাতিসংঘসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নও ট্রাম্পের সমালোচনা করেছে।
জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ট্রাম্পের ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা পুড়িয়েছে ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিরা। এ ধরনের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনিরা বিক্ষোভ করারও প্রতিজ্ঞা করেছেন।
এদিকে, বিক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিরা বলছেন, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের ক্ষেত্রে এটা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা এবং ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। অপরদিকে, হামাস সংগঠন বলছে, ট্রাম্প নরকের দুয়ার খুলে দিয়েছেন।
এর আগে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে মধ্যপ্রাচ্যে বিপর্যয়ের ব্যাপারে সেখানকার বেশ কয়েকজন নেতাকে সতর্কও করে দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি আরও জানান, এ পদক্ষেপের ফলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষা হবে এবং ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদে শান্তি চুক্তির সম্ভাবনা থাকবে।
জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পর বিশ্বজুড়ে নিন্দা স্বত্ত্বেও ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে, তার এই পদক্ষেপে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে।
জেরুসালেমকে ফিলিস্তিনের শহর ঘোষণা করছি: ইউনাইটেড উলামা কাউন্সিল অব ইউএসএ