প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে একটা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি, জনগণের কল্যানে কাজ করে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যারা ধারক বাহক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা দেশকে গড়ে তুলতে চায়, তারাই ক্ষমতায় আসুক, তারাই পার্লামেন্টে থাকুক।
এখানে যেন কোনো যুদ্ধাপরাধী, কোনো খুনী তাদের যেন স্থান না হয়। আগামী নির্বাচনের পর দেশের পার্লামেন্ট, সরকার ও দেশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কি চিন্তা তা জানতে চাইলে এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা জানান।
কম্বোডিয়া থেকে দেশে ফেরার পর বৃহস্পতিবার গণভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদেওর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এসময় দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করে জানতে চান আগামীর গত কয়েকমাস যাবৎ আমরা উপলব্ধি করছি যে রাজনীতিটা মনে হচ্ছে বেশ সহজ, বিশেষ করে বিএনপিও নানা কর্মসূচি স¦চ্ছন্দে পালন করছে।
এই ধারাবাহিকতায় এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনের পরে যে পার্লামেন্টটা হবে, ওই পার্লামেন্টে বা ওই সরকার বা সময়কালে জাতির জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি ইভেন্ট আছে, একটি হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী, আরেকটি আছে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার সুবর্ণ জয়ন্তী। এরকম একটা অসাধারণ লগ্ন, যে আসছে ৫ বছরে আমাদের জীবনে, আপনি কেমন সরকার, কেমন পার্লামেন্ট, কেমন দেশ এবং কেমন রাজনৈতিক পরিবেশ ওই পাঁচ বছরের জন্যে চিন্তা করেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনার প্রশ্নের মধ্যেই উত্তরটা আছে। নিশ্চয়ই আমি চাইব এদেশে একটা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি, জনগণের কল্যানে কাজ করে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যারা ধারক বাহক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা দেশকে গড়ে তুলতে চায়, তারাই ক্ষমতায় আসুক, তারাই পার্লামেন্টে থাকুক, এখানে যেন কোনো যুদ্ধাপরাধী, কোনো খুনী তাদের যেন স্থান না হয়। তাহলে দেশটা আবার ধ্বংসের দিকে চলে যাবে। আপনি ঠিকই বলেছেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী আমরা উদযাপন করব, আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী আমরা পালন করব।
আমাদের দেশ উন্নয়নে নতুন পর্যায়ে যাবে, কারণ আমরা ভিশন টুয়েন্টি টুয়েন্টি ওয়ান যেটা ঘোষণা দিয়েছি, অর্থাৎ ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তোলা, পাশাপাশি দিনবদলের যে সনদ আমরা দিয়েছিলাম, আজকে দিনের বদল যে শুরু হয়েছে, মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি হচ্ছে, দেশের সার্বিক উন্নতি হচ্ছে, সে উন্নয়নের গতিধারাটা অব্যাহত থাকুক।
খুব স্বাভাবিকভাবে যারা এই গতিধারাটা অব্যাহত রাখতে পারবে, যারা দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে নিয়ে যাবে, দেশকে আবার পিছনের দিকে টানবে না, যারা দেশের জনগণের সত্যিকারের কল্যান চায়, তারাই নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করুক, তারাই পার্লামেন্টে আসুক, পার্লামেন্টে আর এই নোংরা কথা, খিস্তিখেউড়, ওগুলি যেন না শোনা যায়।
অন্তত এখন আপনারা দেখলেন এ কয়েকটা বছর, ৪ টা পার্লামেন্টে অসভ্যতা নেই, নোংরামি নেই, আজেবাজে কথা নেই, যে সমস্ত কথা মানে কানে হাত দিয়ে থাকতে হয়, জীবনে যে সমস্ত কথা আমি শুনি নাই, একেবারে নোংরামি এগুলো যেন পার্লামেন্টে না হয়। অন্তত ভদ্র পরিবেশ, একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ আসুক, সেটাই চাই, কেন আপনারা চাননা সেটা, ওকে ধন্যবাদ। সুত্র: আমাদের অর্থনীতি।
এসএস/