আওয়ার ইসলাম: রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধিত শর্ত প্রতিপালন কতটা অগ্রসর তা খতিয়ে দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে নির্ধারিত সময়ে জবাব না দিতে পারায় আবেদনের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ৫টি দলকে অতিরিক্ত সময় দেয়া হয়েছে।
আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলেছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।
অপরপক্ষে ১২টি দল নির্ধারিত সময়ে কোনও জবাব দেয়নি। এমনকি অতিরিক্ত সময় আবেদনও করেনি কমিশনের কাছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা কেন নেয়া হবে না, তা ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে জানতে চেয়েছে ইসি।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ইসির যুগ্ম-সচিব আবুল কাসেম স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত চিঠি দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ১ নভেম্বর নিবন্ধনের শর্ত অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ও তৃণমূলের নির্বাচিত কমিটি-অফিস, দলীয় গঠনতন্ত্র অনুসরণে নির্বাচন, ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব, পেশাজীবী-সহযোগী সংগঠনের সম্পৃক্ততা বাস্তবায়নে কতটা অগ্রগতি হয়েছে তা জানতে চেয়ে ৪০টি নিবন্ধিত দলকে চিঠি দেয় কমিশন।
দলগুলোকে ১৫ দিনের মধ্যে জবাব দেয়া জন্য বলা হয়। কিন্তু জবাব দেয়ার জন্য আরও সময় চায় ৫টি দল। এছাড়া ১২টি দল নির্ধারিত সময়ে কোনও জবাব দেয়নি। এমনকি অতিরিক্ত সময় আবেদনও করেনি।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, নিবন্ধিত ৪০টি দলের মধ্যে বিএনপিসহ অর্ধেকের বেশি দল তাদের জবাব দিয়েছে।
এছাড়া সময় চেয়েছে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল), জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। সময় চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এসব দলকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলে কমিশন।
অপরদিকে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), তরিকত ফেডারেশন, গণতন্ত্রী পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, গণফোরাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)সহ ১২টি দল ইসির চিঠির কোনও জবাব দেয়নি।
দলগুলো জবাব দেওয়ার জন্য কোনও সময়ও চায়নি। তাই তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না- তা আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনে জানাতে বলা হয়েছে।
এর আগে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, ‘কিছু দল সময় চেয়েছে, তাদের সময় দেয়া হবে। আর যারা কিছুই জানায়নি তাদের জবাব দেয়ার জন্য আবারও তাগাদা দিয়ে চিঠি দেয়া হবে।’
সূত্র: ব্রেকিংনিউজ ডটকম