আওয়ার ইসলাম: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন বলেছেন, জেরুজালেম বিশ্বের তাওহিদবাদি তিনটি প্রধান ধর্মের পবিত্র স্থান, স্মৃতি বিজড়িত স্থান, সম্মান মর্যাদার বিষয়।
এই ভূমি তিন ধর্মের সকল মানুষের কাছে আবেগের ব্যাপার। এই ভূমিতে এমন কোনো কর্তৃপক্ষ থাকা উচিৎ যারা তিন ধর্মের নবীদের মর্যাদা করে, ভিন্নধর্মকে সম্মান করে এবং সকলের ধর্মীয় বিধান পালনের সুযোগ দেয়। বাস্তবতা হলো, ইহুদিরা হযরত ইসা আ., রাসূল সা.-কে বিশ্বাস করে না।
ইহুদিদের কাছে এই ভূমির কর্তৃত্ব থাকার অর্থ হলো, অন্য দু’টি ধর্মকে অস্বীকার করা। খ্রিস্টানরা রাসূল
সা.-কে অস্বীকার করে। একমাত্র মুসলিমরাই হযরত মুসা আ. ও হযরত ইসা আ.-কে স্বীকার করে এবং তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে। এই কারণেই জেরুজালেম মুসলিমদের অধিকারে থাকা উচিৎ।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর’১৭) বিকাল ৩টায় পুরানা পল্টনস্থ হাউস বিল্ডিং চত্বর থেকে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির প্রতিবাদে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে ঢাকা মহানগর পূর্বের সভাপতি সাইফ মুহাম্মাদ সালমান-এর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ববর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, জেরুজালেম পৃথিবীর সবচেয়ে স্পর্শকাতর স্থান। এখানে কেউ কোনো ভুল করলে বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। উন্মাদ ট্রাম্প জেরুজালেকে ইহুদি রাষ্ট্রের রাজধানী ঘোষণা করে বিশ্বকে আরেকটি বিশ্বযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিলেন।
আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, মুসলমানদের মাঝে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ থাকতে পারে। কিন্তু
বাইতুল মোকাদ্দাস নিয়ে কোনো মতোবিরোধ নেই। বাইতুল মোকাদ্দাস আমাদের কাছে ঈমানের বিষয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মাজলুম ফিলিস্তিনীদের স্বাধীনতার স্বীকৃতি বাংলাদেশ শুরু থেকেই দিয়ে আসছে। আমরা আশাবাদি জেরুজালেমে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণার প্রতিবাদে ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে বাংলাদেশের সরকার প্রধান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম এমদাদুল্লাহ ফাহাদ, তথ্য-গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক মুহাম্মাদ ইলিয়াস হাসান, ইসলামী যুব আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুফতি হোসাইন মুহাম্মাদ কাওসার বাঙালি।
আরো বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সভাপতি জি.এম বায়েজীদ, মহানগর উত্তরের সভাপতি কে.এম শরীফুল ইসলাম, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মুহাম্মাদ যোবায়ের হোসাইন, নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মুহাম্মাদ মামুনুর রশিদ, ঢাকা কলেজ সভাপতি এমএম শোয়াইব প্রমুখ।