আওয়ার ইসলাম : ফিলিস্তিনের বায়তুল মুকাদ্দাস (জেরুজালেম)-কে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণার ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ইসলামি সম্মেলন সংস্থা ওআইসি'র জরুরি বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। সংস্থাটির সভাপতি দেশের প্রধান হিসেবে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বৈঠক আয়োজনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন।
বুধবার তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।ইব্রাহিম কালিন বলেন, পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস ইস্যুতে স্পর্শকাতর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় আগামী ১৩ ডিসেম্বর ওআইসি'র সদস্য দেশগুলোর নেতারা ইস্তানবুলে বৈঠকে বসবেন।
এদিকে জেরুজালেম ইস্যুতে বুধবার মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। এদিন তিনি বিষয়টি নিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি, তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট বেজি সাঈদ এসবেসি এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।
এরদোয়ান বলেন, পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস ফিলিস্তিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু মুসলিম উম্মাহ’র অনৈক্যের কারণে যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যাপারে ঔদ্ধত্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। ঐক্যবদ্ধভাবে এ ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি বলেন, ইসরায়েলি প্রচেষ্টাকে সমর্থন দেওয়া শুধু আন্তর্জাতিক আইনেরই লঙ্ঘন নয়; বরং এটি মানবতার ওপর গুরুতর আঘাত।
তিনি বলেন, মুসলিম বিশ্বের প্রধান এজেন্ডাগুলোর মধ্যে ফিলিস্তিন, বায়তুল মুকাদ্দাস ও ইসরায়েলের অন্যায় তৎপরতা মোকাবিলা অন্যতম।
এর আগে ওআইসি’র এক বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েল দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করা হবে সুস্পষ্ট আগ্রাসনের শামিল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেল আবিব থেকে আমেরিকার দূতাবাস সরিয়ে বায়তুল মুকাদ্দাসে নেওয়ার ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন বলে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ওআইসি'র এ বৈঠক আহ্বান করা হলো।
ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন দূতাবাস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বায়তুল মুকাদ্দাসকে দখলদার ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দিতে চান। তবে এরইমধ্যে অনেক মুসলিম দেশ ট্রাম্পের এ পরিকল্পনার পরিণামের বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।সূত্র: পার্স টুডে