অনলাইন ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের জর্ডানে কন্যাকে দুই শতাধিকবার ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত।
২৮৮ বার নিজ কন্যাকে ধর্ষণ করেছে মেয়ের এমন অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আদালত তাকে এই আদেশ দেন। খবর জর্ডান টাইমস।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ৯ বছর বয়স থেকে নিজের মেয়েকে ধর্ষণ ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলো ওই ব্যক্তি। বর্তমানে মেয়ের বয়স ১৭ বছর। আর এ সময়ের মধ্যে সে বাবার কাছে ২৮৮ বার ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়ে ওই কিশোরী মাত্র ১৩ বছর বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ২০০৯ সালে একটি ছেলে সন্তানের জন্মও দেয় সে।
জর্ডান টাইমসে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ছয় বছর বয়সে ওই কিশোরীর মা মারা যায়। তখন তাকে খালার বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে নয় বছর বয়সে ওই কিশোরীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন তার বাবা।
তখন থেকে মেয়ের সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমাতেন তিনি। আর প্রতিরাতেই সে বাবার কাছে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতো। মেয়ের বয়স ১২ বছর হলে তাকে নিয়মিত ধর্ষণ শুরু করেন তিনি।
২০০৮ সালের ৩ অক্টোবর ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তার ভাইকে জানায়। তার ভাই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। আর অভিযোগের ভিত্তিতে তার বাবাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আর এ বিষয়টি তদন্তে নামে জর্ডানের পরিবার সুরক্ষা বিভাগ। ওই কিশোরীর গর্ভে জন্ম নেওয়া শিশুটির ডিএনএ পরীক্ষা করা হলে ধর্ষণের বিষয়টির প্রমাণিত হয়। এদিকে ধর্ষক ওই বাবার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা স্বাভাবিক ছিল বলে জানান চিকিৎসকরা। সুত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।
এসএস/