আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনটি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থনে আদালতে দেয়া নিজের বক্তব্য শেষ করেছেন পবিত্র কুরআনের আয়াত দিয়ে।
আত্মপক্ষ সমর্থনে দেয়া বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে বেগম জিয়া বলেন, ‘আমি এ মামলায় সম্পূর্ণ নির্দোষ। মামলায় খালাস পাওয়ার যোগ্য। আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি সুরা নিসার ১৩৫ নম্বর আয়াতের তরজমার মধ্য দিয়ে। এরপর তিনি আয়াতের অর্থ পড়ে শোনান।
যার অর্থ হলো : ‘হে মুমিনগণ! আল্লাহ্কে সাক্ষী রেখে তোমরা ন্যায়ের ওপর দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থাক। যদি তা তোমাদের নিজেদের অথবা পিতা-মাতা, কিংবা তোমাদের আত্মীয়-স্বজনের ক্ষতির কারণও হয়; (যদি পক্ষগুলোর একটি) বিত্তবান হয় অথবা বিত্তহীন, তবু আল্লাহই তাদের শুভাকাঙ্ক্ষী তোমাদের চাইতে বেশি। অতএব, তোমরা বিচার করতে গিয়ে রিপুর কামনা-বাসনার অনুবর্তী হয়ো না। যদি তোমরা ন্যায়কে বিকৃত কর এবং ন্যায় বিচারকে অস্বীকার কর, অবশ্যই তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে আল্লাহ ভালোভাবেই জানেন। (৪ : ১৩৫)
এর আগে বিচারককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আমি এই মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছি এবং আপনার আদালতে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি।’ খালেদা জিয়া বলেন, ‘মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশীদ নিরপেক্ষতার বিধান লঙ্ঘন করে কোনো রুপ দালিলিক প্রমাণ ছাড়া ১৫ দিনের মাথায় আমার বিরুদ্ধে একটি হয়রানিমূলক ও মিথ্যা রিপোর্ট দাখিল করেন। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি নিরপেক্ষ থাকলে এ রুপ অনুমান নির্ভর সাক্ষ্য দেয়ার সুযোগ থাকতো না।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তার উপর অভিযোগ করে বেগম জিয়া বলেন, ‘আমাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার অপপ্রয়াস হিসেবে অনুমান নির্ভর ও কাল্পনিক অভিযোগে এই মামলায় মিথ্যা বর্ণনায় আমাকে জড়ানো হয়েছে। আমাকে, জিয়া পরিবার ও বিএনপিকে হয়রানি করার প্রয়াস হিসাবে এ মামলাটি করা হয়েছে। জিয়া অরফানেজের সঙ্গে আমি কোনোভাবে জড়িত নই।’
বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতের মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করে আত্মপক্ষ সর্মথন করে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
পরে আদালত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
এসএস/