নিহার মামদুহ
প্রতিবেদক
মোবাইল ফোন ব্যবহারের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক নিয়ে এ পর্যন্ত নানা প্রকার গবেষণা হয়েছে। সম্প্রতি েএক গবেষণা দেখা যাচ্ছে যেসব কিশোর-কিশোরী ৫ ঘণ্টার চেয়ে বেশি সময় মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকে তার মধ্যে বাড়তে পারে আত্মহত্যার ঝুঁকি।
ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষক থমাস জয়েনার এ নিয়ে এক সমীক্ষা চালিয়েছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, ফোন ব্যবহারের সঙ্গে আত্মহত্যা বাড়ার সরাসরি যোগাযোগ আছে। ২০১০-২০১৫ এই সময়সীমার মধ্যে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে ৩১%। ডিপ্রেশন বেড়েছে ৩৩%।
৪৮ শতাংশ কিশোর কিশোরীদের ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, যাদের স্ক্রিন টাইম দিনে পাঁচ ঘণ্টার বেশি, তাদের মধ্যে আত্মহত্যা করার লক্ষ্মণও বেশি।
এই সমীক্ষা থেকেই বোঝা যাচ্ছে কিশোর কিশোরীদের মধ্যে বেশিমাত্রায় থাবা বসাচ্ছে এই রোগ। আর তার জন্য দায়ী মোবাইলই।
গবেষকরা বলছেন, মোবাইল ফোনে অতিরুক্ত মনোযোগের কারণে শারীরিক ও মানসিক বিস্বাদ তৈরি হয়। সামাজিক যোগাযোগ ও সম্পর্ক কমে যাওয়া আত্মহত্যার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
গবেষকের পরামর্শ, সন্তানদের স্ক্রিন টাইম কমানোর চেষ্টা করতে হবে অভিভাবকদের। তবে তা তাড়াহুড়ো করে নয়। বকাঝকা করেও নয়। ধীরেসুস্থে বুঝিয়ে, অন্য কাজের প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে হবে। যাতে ফোনে মুখ গুঁজে থাকার মুদ্রাদোষ কেটে যায়।