আওয়ার ইসলাম : গত শুক্রবার বাংলাদেশে সফররত খ্রিস্টান ধর্মীয় গুরু পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে ঢাকায় সাক্ষাৎ করে রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দল।
সাক্ষাতে ১৬ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলটি পোপের নিকট ১২ দাবি জানায়।
প্রতিনিধি দলের নেতা আহমদ হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, মিয়ানমারে ১৩৫ জাতি রয়েছে। তার মধ্যে রোহিঙ্গাদেরও একটি জাতি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। আরাকানে অবস্থানরত মিয়ানমার সামরিক জান্তাদের ব্যারেকে ফিরিয়ে নিতে হবে।
মিয়ানমারের আইটিবি ক্যাম্পে আশ্রয়ের নামে নজরবন্দী করে রাখা সাত হাজার রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ, শিশুকে বাড়ি ঘরে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে।
মিয়ানমার জান্তারা রোহিঙ্গাদের জীবননাশের জন্য সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে মাটির নিচে স্থল মাইন্ড পুঁতে রেখেছে তা সরিয়ে ফেলে নিরাপদ যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে।
২৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া মিয়ানমার সামরিক জান্তা কর্তৃক বর্বরোচিত হামলা ও পুড়িয়ে দেওয়া বাড়ি ঘর পুনর্নির্মাণ ও লুণ্ঠিত মালামাল ফেরত দিতে হবে।
মিয়ানমারের জেলখানায় আটক পাঁচ হাজার রোহিঙ্গাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিয়ে সকল অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
ওআইসি, জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি মিয়ানমারে রাখতে হবে।
রোহিঙ্গা যুবকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি রাখতে হবে।
ছেলে/মেয়েদের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় পড়ালেখার সুযোগ দিতে হবে।
মিয়ানমার সামরিক জান্তা বর্বর আচরণ থেকে বিরত থাকার জন্য লিখিত চুক্তি করতে হবে।
১৬ রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন- বালুখালী ক্যাম্পের আহমদ হোসন (৬০), কামাল হোসন (৪৮), লালু মাঝি (৪০), ব্লক মাঝি ফয়েজুল্লাহ (৩৮), আইয়ুব আলী মাঝি (৪০), খাইরুল আমিন (৪৫), কলিম উল্লাহ (৩৫), মোহাম্মদ ইউনূছ (৩২), গুলিবিদ্ধ মিয়া হোসেন (২৫), মৌলভী কলিম উল্লাহ (৩৫) ও ধর্ষিতা তিন নারী ও শিশু। সাক্ষাৎকালে বার্মিজ ভাষায় লেখা দাবির একটি অনুলিপি পোপ ফ্রান্সিসের হাতে তুলে দেন তারা।