আওয়ার ইসলাম : উপসাগরীয় দেশগুলোর জোট গাল্ফ কোঅপারেশন কাউন্সিলের বার্ষিক সম্মেলন আজ কুয়েতে শুরু হচ্ছে। এই সম্মেলনে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি অংশ নেবেন বলে জানায় দেশটি।
তবে, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের রাষ্ট্র প্রধানেরা সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না কি, প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন সে বিষয়ে এখনো পরিষ্কার কোন ঘোষণা দেওয়া হয়নি। যার কারণে এ সম্মেলনকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এক ধরণের সংশয়।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, নভেম্বরের শেষে কুয়েত এই সম্মেলনে যোগ দেবার আমন্ত্রণ জানায় কাতারকে।
তেল সমৃদ্ধ সুন্নী দেশগুলোর সংগঠন জিসিসি প্রতিষ্ঠার ৩৬ বছরের মধ্যে কাতার সংকটকে কেন্দ্র করে বড় ধরণের ধাক্কার সম্মুখীন হলো সংগঠনটি।
গত জুনের প্রথম সপ্তাহে সৌদি আরবের নেতৃত্বে উপসাগরীয় চারটি দেশ কাতারের সঙ্গে সব ধরণের সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয়। যা নিয়ে উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছে। এই সংকট শুরুর পর থেকে প্রথম কোন আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেল কাতার।
কাতারকে বয়কটকারী দেশগুলোর অভিযোগ করে কাতার ইসলামপন্থী জঙ্গিদের মদদ দেওয়ার অভিযোগে সৌদি অারবসহ বাকি দেশগুলো কাতারকে বর্জনের ঘোষণা দেয়। কিন্ত কাতার বরাবরই সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যকার সংকট নিরসনে মধ্যস্থতার উদ্যোগ নিয়ে কয়েক দফা বৈঠকের পরও ব্যর্থ হয় কুয়েত। এই সংকটকে ঘিরে কূটনীতিক টানাপড়েন মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি আরও ঘোলাটে হতে থাকে।
উল্লেখ, উপসাগরীয় দেশগুলোর রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক জোট হিসেবে পরিচিত গাল্ফ কোঅপারেশন কাউন্সিল গঠিত হয় ১৯৮১ সালে। সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান ও কুয়েত এই জোটের সদস্য। তবে কুয়েত এবং ওমান কাতারকে বয়কট করেনি।
তুরস্ক শুরুতে কোনো পক্ষ না নেয়া এবং বিরোধ নিষ্পত্তিতে সংলাপের মধ্যস্থতার অবস্থান নেয়। কিন্তু দুদিনের মধ্যেই নাটকীয়ভাবেই কাতারের পক্ষ নেয় আঙ্কারা।
বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরবের নেতাদের সঙ্গে তখন ফোনে আলাপ-আলোচনা করেছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোয়ান। আরএম