আওয়ার ইসলাম : নানা আয়োজনে পালিত হলো বাংলা একাডেমির ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। গতকাল রোববার ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
এরপর বাংলা একাডেমির স্বপ্নদ্রষ্টা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ সমাধিতে এবং আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
বিকেলে একাডেমির রবীন্দ্র চত্বরে ছিল ‘বাংলা ভাষা এবং বাংলা একাডেমি’ শীর্ষক একক বক্তৃতানুষ্ঠান। এতে একক বক্তা ছিলেন লেখক ও গবেষক গোলাম মুরশিদ।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সকল আয়োজন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
একক বক্তা গোলাম মুরশিদ বলেন, ‘বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হবার পর ষাট বছরেরও বেশি সময় কেটে গেছে। যখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তখন এর যা লক্ষ্য ছিল তার অনেকটাই এখন প্রসারিত হয়েছে।
বিশেষ করে বাংলা ভাষা এখন একটা স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রভাষা এবং সরকারি কাজকর্ম ও শিক্ষার বাহন হওয়ায়, বাংলা একাডেমির দায়িত্ব এবং কার্যক্রমের পরিধি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়েছে। জাতীয় জীবনে এ প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব এখন অপরিসীম।’
আনিসুজ্জামান বলেন, ‘বাংলা একাডেমি বাষট্টি বছরে তার প্রতিষ্ঠাকালীন লক্ষ্য ও অঙ্গীকার থেকে ভিন্ন এবং বৃহৎ পরিসরে অনেক কিছুই করেছে। একাডেমির প্রতি জনমানুষের প্রত্যাশা বিপুল কিন্তু সব জনপ্রত্যাশাই একাডেমির পক্ষে পূরণ করা সম্ভব নয়।’
অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য কাজী রোজী, অধ্যাপক হায়াৎ মামুদ, অধ্যাপক শফি আহমেদ, নূরজাহান বোস, আজিজুর রহমান আজিজ, শেখ হাফিজুর রহমান, সোনারগাঁও লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক কবি রবীন্দ্র গোপ, জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ সামাদ, সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত, অধ্যাপক গোলাম মুস্তাফা, অধ্যাপক মহুয়া মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।