একটি নতুন রাজনৈতিক জোট গঠনের লক্ষ্যে রাজধানীর উত্তরায় একটি বৈঠক করছেন চারটি রাজনৈতিক দলের নেতারা। দলগুলো হল-বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (রব), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও নাগরিক ঐক্য।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের উত্তরায় বাসায় ওই চার দলের নেতারা বৈঠকে বসেছেন।
বৈঠকে উপস্থিত আছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি এ কিউ এম বদরুদোজ্জা চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
জোট গঠনের লক্ষ্যে এ দলগুলোর মধ্যে বৈঠক নতুন নয়। এর আগেও উত্তরা, বারিধারায় এ ধরনের বৈঠক করেছেন নেতারা।
তবে এবারের বৈঠকে নতুনত্ব সম্পর্কে নাগরিক ঐক্যের একজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী এ জোটে থাকবেন কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত করতেই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে আজ। কাদের সিদ্দিকী সম্প্রতি আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জোটে তাঁর থাকা নিয়ে জোটের মধ্যে এক ধরনের সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রথম আলোকে বলেন, জোট গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। বৈঠক চলছে। বৈঠক শেষ হলে আমরা বলতে পারব ফল জানাতে পারব।
বৈঠকে উপস্থিত আছেন বিকল্পধারার মহাসচিব আবদুল মান্নান, যুগ্ম মহাসচিব মাহি বি চৌধুরী, জেএসবির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতনসহ দলগুলোর কেন্দ্রীয় নেতারা।
এর আগে গত জুলাই মাসে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের উত্তরার বাসায় রাজনৈতিক দলের নেতাদের অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় পুলিশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
১৩ জুলাই সন্ধ্যা সাতটার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কয়েকজন নেতা আ স ম আবদুর রবের আমন্ত্রণে তাঁর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের বাসায় যান। এ সময় পুলিশের কয়েকজন সদস্য সেখানে গিয়ে জানান, অনুমতি ছাড়া সভা করা যাবে না। তখন আবদুর রব বলেন, এটা সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠান। একপর্যায়ে পুলিশ বের হয়ে বাসার বাইরে অবস্থান নেয়।
ওই দিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারার সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও মাহি বি চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, গণফোরামের এস এম আকরাম ও সুব্রত চৌধুরী, বাসদের বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ও বহ্নিশিখা জামালী, জাসদ একাংশের আবদুল মালেক প্রমুখ। এ সময় সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারও ওই বাসায় গিয়েছিলেন। সূত্র: প্রথম আলো