বাংলাদেশে মোবাইল ফোন অ্যাপ ভিত্তিক গাড়ি শেয়ার নেটওয়ার্ক উবার ও উবার দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে নগরবাসীর নিকট। বিপরীতে মানুষ বিমুখ হচ্ছেন সিএনজি অটো রিকশা ও টেক্সি থেকে।
উবার বলছে, শুধু নভেম্বর মাসেই দুই লাখেরও বেশি মানুষ উবারে ভ্রমণ করেছে। প্রতি মাসে দশ হাজারের বেশি চালক উবারে যোগ দিচ্ছেন। বাংলাদেশে কাছাকাছি সময়ে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে মোটরসাইকেলে একই সেবা দেয়ার অ্যাপ পাঠাও।
যাত্রীদের অভিযোগ সিএনজি মিটারে যেতে চায় না। অনেক বেশি ভাড়া চেয়ে বসে। অনেক সময় জায়গা মতো যেতেও চায়না। কিন্তু উবার বা পাঠাও ব্যবহার করলে নির্দিষ্ট ভাড়া ওঠে। সিএনজিওয়ালাদের এটা আগে ঠিক করা উচিত।
ঢাকা শহরে পরিবহন খাতে নানা অনিয়ম আর বিশৃঙ্খলার সুযোগে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মোবাইল ফোনে অ্যাপ ভিত্তিক গাড়ি ও মোটরসাইকেল শেয়ার নেটওয়ার্ক উবার অথবা পাঠাও এর মতো কোম্পানি।
উবারের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী শুধু গত মাসেই ১৫ লক্ষ লোক উবার অ্যাপ গাড়ির অনুরোধ পাঠিয়েছেন। তার মধ্যে ২ লাখের বেশি মানুষ নভেম্বরে উবার ব্যবহার করেছেন।
প্রতি মাসে ১০ হাজারেরও বেশি চালক উবারের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করছেন।
অন্যদিকে, ঢাকা মহানগরে প্রায় ৩৫ হাজারের মতো সিএনজি রয়েছে।
কিন্তু বিশ্বব্যাপী রাস্তায় থাকার জন্যে বেশ লড়াই করতে হচ্ছে উবারকে। কেননা অ্যাপ ভিত্তিক এমন পরিবহন সেবার জন্য সরকারি নীতিমালা এখনো গড়ে ওঠেনি অনেক দেশে। বাংলাদেশেও তাই। কিন্তু পরিবহন বিশেষজ্ঞ বুয়েটের অধ্যাপক ড. সামসুল হক বলছেন, যাত্রীদের দরকারে জনপ্রিয় হয় এরকম সেবা।
তিনি বলেন, "উবার প্রথম চালু হয়েছিলো সিঙ্গাপুরে। একটা গাড়ি বহু মানুষের ব্যবহার করলো, গাড়ির মালিক না হয়েও গাড়িতে চড়ার ফ্লেভারটা পেলো। দিন শেষে মানুষ তো আসলে সেবা পেতে চায়।"
ঢাকা শহরে ট্রাফিক জ্যাম এখন দুনিয়া-জুড়ে বিখ্যাত। এই শহরে চাহিদার তুলনায় পাবলিক বাস খুবই কম। নেই ট্রাম বা পাতাল রেলের মতো গন-পরিবহন ব্যবস্থা। তাই স্বাচ্ছন্দ্যের খোঁজেই ঢাকার যাত্রীরা বেছে নিচ্ছেন বিকল্প।
সূত্র : বিবিসি