শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অ্যাডভোকেট আলিফের কবর জিয়ারত ও পরিবারের পাশে হেফাজতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ  প্রাইমারি স্কুলে আলেম ধর্মীয় শিক্ষক বাধ্যতামূলক করতে হবে: মাওলানা ইসলামাবাদী বগুড়ায় ছাত্র আন্দোলনে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে শেখ হাসিনাসহ ৫৯ জনের নামে মামলা কাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন জামায়াত আমীর হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ল ১৫ দিন রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন চলতে দেয়া হবে না: মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী ২২৫০০ কোটি নতুন টাকা ছাপিয়ে ৬ ব্যাংককে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

ইসলামিকরণ বন্ধ না হলে পাহাড়ে আগুন জ্বলবে: সন্তু লারমা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : পার্বত্য চট্টগ্রামে ইসলামিকরণ বন্ধ না হলে পাহাড়ে আবারও আগুন জ্বলবে বলে হুমকি দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা। তিনি বলেন, 'এ অঞ্চলে ইসলামীকরণের যে বাস্তবতা বিরাজমান সেটা মেনে নিলে আমাদের সর্বস্বান্ত হতে হবে। আমরা সেটা মেনে নিতে পারি না, মানব না। পাহাড়ে আগুন জ্বলছে, জ্বলবে। সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে উঠবে।’

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির দুই দশক পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর ফার্মগেটে ডেইলি স্টার ভবনে জনসংহতি সমিতি আয়োজিত এক আলোচনাসভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

তিনি বলেন, ‘শান্তিচুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হওয়ায় পার্বত্যাঞ্চল আবারও অশান্ত হতে পারে।’

সভার সূচনা বক্তব্যে সন্তু লারমা বলেন, 'পার্বত্য চুক্তির পর ২০ বছরেও এর মেৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়িত হতে পারেনি। সামগ্রিক পরিস্থিতি নানা ক্ষেত্রে, নানা দিক থেকে অশান্ত হয়ে উঠতে পারে। আমরা এক অন্ধকার বাস্তবতার মুখে দাঁড়িয়ে আছি। কী হবে তা জানি না। '

সন্তু লারমা বলেন, চুক্তির দুই দশক পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও করফারেন্সে যা বলেছেন তার অনেক বিষয় বাস্তবতাবিবর্জিত। চুক্তি অনুসারে ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি, সেনা প্রত্যাহার, জুম্মদের শিক্ষা সংস্কৃতি রক্ষায় সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, এ কারণে পার্বত্যবাসীর জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই।

আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য এবং সঞ্চালনায় ছিলেন জনসংহতি সমিতির সদস্য দীপায়ন খীসা। সভায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি, বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান, লেখক ও সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি নুরুর রহমান সেলিম, বাসদের প্রেসিডিয়াম সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রুবায়েত ফেরদেৌস, সাপ্তাহিক সম্পাদক গোলাম মতুর্জা, অধ্যাপক সৌরভ শিকদার প্রমুখ। সভায় জনসংহতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক শক্তিপদ ত্রিপুরাও উপস্থিত ছিলেন।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ