আবদুল হান্নান চৌধুরী: মসজিদুল জিন মসজিদে হারামের ৩ কি.মি. উত্তর দিকে অবস্থিত। এটাকে ইসলামি ইতিহাসের স্মরণীয় কীর্তি মনে করা হয়।
ইতিহাসের বর্নণামতে তার আরও কতগুলো প্রসিদ্ধ ঘঠনাবলী পাওয়া যায়, তবে এখানে উল্যেখযোগ্য ঘটনা হল নবী করীম সা. এর হাতে জিন দের এক প্রতিনিধি দলের ইসলাম গ্রহণ।
তবে আল আরাবিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী মসজিদুল জিন হারাম শরীফ থেকে তিন হাজার মিটার উত্তরে অবস্থিত, এখানেই জিনদের প্রতিনিধি দল হুজুর সা. এর হাতে ইসলাম ধর্ম কবুল করেন এবং তাঁর সুমধুর কণ্ঠের কুরআন তেলাওয়াত শুনেছেন। নবীজী তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ।
‘মুসতাদনাদে তারিখি মাসাদির’ ও কুতুবে ছিয়ার থেকে জানা যায় যে , একবার মহানবী হযরত মোহাম্মদ সা. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. কে একটি বিষেশ স্থান থেকে সামনে অগ্রসর হতে নিষেধ করেছেন। যাতে জিনেরা তাকে ক্ষতি করতে না পারে ।
অতপর হুজুর সা. এর সাথে তাদের সাক্ষাৎ হয় ও ইসলাম ধর্ম কবুল করেন এবং হুজুর সা. থেকে ইসলামি শিক্ষা অর্জন করার পর ফিরে আসেন।
সূরাতুল জিন ওখানেই এবং ঐ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই নাযিল হয় । একারনে এখানে একটি উন্মুক্ত, বিস্তৃত ও মনোরম মসজিদ নির্মাণ করা হয় , যার নাম মসজিদুল জ্বিন রাখা হয় ।
কাল পরিক্রমার সাথে সাথে মসজিদটির নির্মান ও সংস্কার এর সময় তার আকৃতি ও পরিবর্তন পরিবর্ধন হতে থাকে ।
কিন্তু ঐ ঘটনা আজও পর্যন্ত মুসলমানদের অন্তরে সতেজ ও সজিব রয়েছে। তাই মক্কা মদিনা জিয়ারতকারীগণ মজসিদুলজিনও জিয়ারত করে থাকেন। রমযান মাসে এখানে ইফতারের বিশেষ আয়োজন করা হয়। যেখানে সমগ্র পৃথিবীর জিয়ারত কারীগণ ও বিশ্বস্থ কর্মকর্তাদের সাথে মসজিদে উপস্থিত হয়ে ইবাদতে মশগুল ও ইফতারে উপস্থত হন।
সুত্র: ডেইলি কুদরত