আওয়ার ইসলাম : আজ ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে কম্বোডিয়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সকালেই নমপেনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের আমন্ত্রণে এই সফরে যাচ্ছেন।
তার এই সফরে এশিয়ার এ দু’দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে ঢাকা আশা করছে।
প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট রবিবার সকালে কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে।
বিমানটি একই দিনে দুপুর সাড়ে ১২টায় (স্থানীয় সময়) নমপেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের নিযুক্ত মিনিস্টার ইন ওয়েটিং এবং থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং কম্বোডিয়ায় বর্তমানে অ্যাক্রেডিটেড সাদিয়া মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে শেখ হাসিনাকে একটি মোটর শোভাযাত্রা সহকারে হোটেল সোফিটেলে নিয়ে যাওয়া হবে। কম্বোডিয়া সফরকালে তিনি এই হোটেলেই থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী এ দিন বিকালে নমপেনে স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন।
তিনি কম্বোডিয়ার প্রয়াত রাজা নরোদম সিহানুকের রাজকীয় প্রতিকৃতিতেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন।
শেখ হাসিনা কম্বোডিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেবেন। অনুষ্ঠানে কম্বোডিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরাও অংশগ্রহণ করবেন।
আগামী সোমবার দুই প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আলোচনার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন।
পরে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ১১টি চুক্তি ও ৯টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।
অনুষ্ঠানে উভয় দেশের জাতির পিতার নামে ঢাকা ও নমপেনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নামকরণের ঘোষণা দেওয়া হবে। পরে শেখ হাসিনা ও হুন সেন যৌথ বিবৃতি প্রদান করবেন।
তিন দিনের সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী ৫ ডিসেম্বর বিকালে দেশে ফিরবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এই সফর দু’দেশের বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করবে।’
তিনি বলেন, ‘দু’দেশের মধ্যে বেসামরিক বিমান চলাচল, যৌথ ট্রেড কাউন্সিল গঠন, ২০৩০-এর মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়ন সম্পর্কিত সহযোগিতা, শ্রম ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা, পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, দু’দেশের বাণিজ্য সংস্থাগুলোর মধ্যে সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এবং কম্বোডিয়ার রয়্যাল একাডেমি’র (আরএসি) মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকার কূটনৈতিক অঞ্চলে বারিধারা পার্ক রোড কম্বোডিয়ার প্রয়াত রাজা নরোদম সিহানুক এবং নমপেনের একটি সড়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামে নামকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
সূত্র : বাসস