বশির ইবনে জাফর
বিশেষ প্রতিবেদক
যানজটের অবসান ঘটাতে উড়ন্ত গাড়ির কথা শোনা গিয়েছিলো গত বছর। যানজটের শহরে হাজার হাজার মানুষের সময় বাঁচাতে উবার নামের একটি প্রতিষ্ঠান সে বছর উড়ন্ত গাড়ির সেবা চালুর পরিকল্পনা উন্মোচন করেছিলো।
তাদের সে পরিকল্পনায় ছিলো দূরত্ব অনুযায়ী পরিশোধের ব্যবস্থা। যার নাম “উবার এলিভেট (Uber Elevate)”।
২০১৬ সালে পর্তুগালে অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলনে উবারের প্রধান পণ্য ব্যবস্থানা পরিচালক জেফ হোল্ডেন বলেছিলেন, পরীক্ষামূলক শহর হিসেবে যেসব শহরকে বেছে নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে লস এঞ্জেলেস।
তিনি আগামী তিন বছরের মধ্যে হেলিকপ্টার সদৃশ এই গাড়িগুলোকে এক স্টেশন থেকে আরেক স্টেশনে উড়ে যেতে দেখা যাবার কথা জানিয়েছিলেন।
এর পর থেকেই উড়ন্ত গাড়ি নিয়ে জনমনে শুরু হয় জল্পনা-কল্পনা।
জেফ হোল্ডেনের এই পরিকল্পনা কীভাবে কাজ করবে তারও ব্যাখ্যা তিনি দিয়েছিলেন এবং সেটি ছিলো বর্তমানে উবার অ্যাপের মাধ্যমে যেভাবে গাড়ি অর্ডার করে ডেকে আনা হয় ঠিক সেভাবেই উড়ন্ত গাড়িগুলোকেও ডেকে আনা যাবে।
তবে তার জন্য দরকার হবে নিকটস্থ একটি ভবনের উপরে স্থাপিত ‘আকাশবন্দর' এর যেখানে মানুষ ও তার মালপত্রের ওজন সীমিত আছে কিনা পরীক্ষা করে তারপর তাকে গাড়িতে তুলে নেওয়া হবে। আর এভাবেই যাত্রীদের পৌঁছে দেয়া হবে তাদের কাঙ্খিত গন্তব্যে।
বছর খানেক আগে তার সে ঘোষণা শুনে ভবিষ্যতদর্শী পরিকল্পনা মনে হলেও খুব অচিরেই তার বাস্তবায়ন ঘটতে যাচ্ছে বলেই ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।
উবার জানিয়েছে বিশ্বের ২০ টি কোম্পানি উড়ন্ত গাড়ি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সমানতালে। কাজেই এক বছর আগে এটাকে কল্পকাহিনী মনে হলেও মূলত অগ্রগতি সত্যিই অনেক দূর এগিয়ে গেছে।
তাছাড়া, এই ভ্রমন খুব ব্যয়বহুল মনে হলেও বাস্তবিকভাবে সেটি হবে না বলে ঘোষনা দিয়েছে সংস্থাটি। তারা জানিয়েছে ওবারের মূল পরিকল্পনাই হলো সস্তায় ভালো সেবা দেওয়া।
সর্বশেষ কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো হয়- উবার নাসার সাথে যৌথভাবে একটি আকাশ পথের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা ইতোমধ্যে তৈরি করে ফেলেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে নির্ধারিত সময়েই তথা ২০২০ সাল নাগাদ বাজারে আসবে বলে বলা হয়েছে।
সূত্র: ABC